#তমলুক: শীতকাল পড়লেই গ্রামে হাজির হন খেজুর গুড় তৈরির কারবারিরা। গ্রাম্য ভাষায় এদের বলা হয় শিউলি। খেজুর গাছে উঠে খেজুর রস সংগ্রহ করে আগুনে বড় পাত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তৈরি করেন খেজুর গুড়। কিন্তু এই আগুনে খেজুর রস ফুটিয়ে খেজুর গুড় তৈরি করতে সমস্যায় পড়েছেন খেজুর গুড় কারবারিরা। কারণ জ্বালানি হিসেবে উনুনের দেওয়া প্রচুর পরিমাণে খড়। এই খড়ের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সমস্যা পড়েছেন তারা।শীতের শুরুতেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংসার নিয়ে গ্রামে গ্রামে আসে খেজুর গুড় তৈরীর কারবারিরা। শীতের সময় চলে খেজুর রস সংগ্রহ করে খেজুর গুড় তৈরির কারবার। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলে এই কারবার। বিকেলে খেজুর গাছের মাথা ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে পরিষ্কার করে গাছে একটি নল পুঁতে দেওয়া হয়। ওই নলের মাধ্যমে রস এসে জড় হয় গাছে বাঁধা একটি পাত্রে। পরের দিন ভোর থেকে চলে রস সংগ্রহ। প্রতিটি গাছের রস সংগ্রহ করে তাকে পরিষ্কার ছাঁকুনির মাধ্যমে ছেঁকে বড় পাত্রের ঢালা হয়। বড় পাত্রটি উনুনের ওপর রেখে জ্বাল দেওয়ার কাজ শুরু। রস ফুটে ফুটে ঘন হয়ে এলে গুড় তৈরি হয়। শুধুমাত্র প্রকৃতিগত উপাদান থেকে তৈরি হয় বলে খেজুর গুড়ের চাহিদা ভালোই।
আরও পড়ুন: Siliguri News: টানা ২৯ দিন কর্ম বিরতির পর অবশেষে খুলল বিএসএনএল দফতর
একে ত শীতকালে উত্তরে হাওয়া নেই যার ফলে খেজুর রস কম সংগ্রহ হচ্ছে তার ওপর আরও সমস্যা জ্বালানি খড়ের দাম বেশি হওয়ায়। খড়ের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার বিপাকে খেজুর গুড় ব্যাবসায়ীরা। খড়ের দাম আঁটি প্রতি ১টা হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেজুর গুড় ব্যবসায়ীরা। শীতের মরশুমে খেজুর গুড় খেতে বাঙালিরা বেশি পছন্দ করে থাকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ও খেজুরীর কৃষক পরিবারের লোকেরা খেজুর রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে থাকে। মূলত নভেম্বর-জানুয়ারী এই ৩ মাস মূলত সিজিন।
আরও পড়ুন: Birbhum News: বাদামকাকুর সেই গান গেয়েই জমজমাট ব্যবসা করছেন এখানকার বাদাম বিক্রেতারা, কেন এমন ভাবনা!
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, নন্দকুমার, ময়না, নন্দীগ্রাম এলাকায় বিপুল সংখ্যক ভেড়ি চাষ হওয়ার খড়ের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং সারা বছর ধরে ওই সব এলাকায় পান চাষ হওয়ার বোরজ চাষে এবং পান মার্কেট খড়ের চাহিদা ব্যাপক। ফলে খড়ের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আগে যেখানে তারা আঁটি প্রতি ২০-৩০ পয়সা কিনত। এখন তাদের কিনতে হচ্ছে প্রতি আঁটি প্রায় ১ টাকা করে। এবছর জ্বালানি ও মজুরী বাড়লেও।খেজুর গুড় প্রতি কেজি গতবারের মতো ১০০ -১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতে এক প্রকার লোকশান হচ্ছে বলে জানান গুড় কারবারিরা।
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Medinipur News