নন্দীগ্রাম: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নদ-নদী ও সাগর দ্বারা বেষ্টিত ফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ব্রিজ তিন নয় এলাকা জুড়ে উপকূল অঞ্চল। উপকূল অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান জীবিকা নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরা। নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে কেন্দেমারি মাছ ঘাটে হলদি নদীর তটে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মৎসজীবীদের নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
ইলিশ সংরক্ষন, নদীতে মাছ ধরায় নিয়মাবলী, সফল করার লক্ষে জেলেদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও মৎস্য বিভাগ।সভায়, মাছ ধরার নিয়ম কানুন সম্পর্কে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মৎসজীবীদের আরও সচেতন করা পাশাপাশি মাছ উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন- ব্লক মৎস্য বিভাগের অভিনব কর্মসূচি! বেকারত্ব ঘোঁচাতে বাড়ির দালানে মাছ চাষ
সভায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মৎসজীবীদের জানানো হয় মৎস্য দফতরের ফিশিং লাইসেন্স ও নৌকার রেজিস্ট্রেশন এর বিষয়ে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ফিশারী অফিসার সুমন কুমার সাহু, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি ও হলদিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাগন। উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে নদী সমুদ্রে মাছ ধরার সময় মৎসজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বলা হয়।
কেন্দেমারীর মৎসজীবী সহদেব মন্ডল বলেন “আমাদের নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ফিশারী অফিসার সুমন কুমার সাহু নদী তটবর্তী এলাকা গুলোতে বাড়তি নজরে এনে আমাদের মতো প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র মৎসজীবীদের সাথে নিবিঢ় যোগাযোগ রেখে চলেছেন, আমরা খুশি”।
আরও পড়ুন- ট্যাঙ্কার ধর্মঘটে তেল শূন্য হওয়ার আশঙ্কায় পাম্প মালিকরা
এদিনের সভায় উপস্থিত সকলকে দেখানো হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কিভাবে জীবন নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট ব্যাবহার করতে হয়। মৎস্য শিকারি আরেফুর রহমান বলেন, "নদী আমাদের জীবন আর এই নদীকে কেন্দ্র করেই জীবিকা। এদিনের সভায় উপস্থিত হয়ে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম।”
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।