তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর: শুরু হয়েছে চাষিদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান কেনা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খাদ্য দফতর চলতি মরসুমে সরকার নির্ধারত সহায়ক মূল্যে ধানকেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াল। গতবার জেলায় চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছিল। এবার অতিরিক্ত ৩০ হাজার মেট্রিক টন বেশি ধান কেনার লক্ষমাত্রা রেখেছে জেলা খাদ্য দফতর। জেলাজুড়ে বিভিন্ন কিষাণ মান্ডি থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এমনিতেই কিষাণ মান্ডি বা সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে থেকে সারা বছরই ধান বিক্রি করা যায়। সরকারি উদ্যোগে জেলা খাদ্য দফতর বছরে দু'বার ধান কেনার জন্য বিশেষ শিবির আয়োজন করে। পূর্ব জেলায় তিন ধরনের ধান চাষ হয় আউশ আমন ও বোরো। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় প্রায় ২ লক্ষ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। বোরো চাষ হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার হেক্টর জমিতে। আউস ধান ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আউস এবং আমন মিলিয়ে ধান উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ মেট্রিক টন। সাড়ে ৬ থেকে ৭ লক্ষ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হয় জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ৬ টি কিসান মান্ডি-সহ মোট ৩১ টি ধান বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ওই ধান কেনে রাজ্য সরকার। জেলা খাদ্য নিয়ামক দীপমালা পাল বলেন, “এবার ২ লক্ষ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছি। যা গত বারের তুলনায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বেশি।” মহিষাদল রাজবাড়ির ছোলাবাড়ি ময়দান থেকে মহিষাদল ব্লকের বোরো ধান চাষীদের কাছ থেকে সরকারি নিয়ম মেনে ধান কেনা হচ্ছে। প্রতি কুইন্টাল অর্থাৎ ১০০ কেজি ধানের দাম ১,৯৬০ টাকা। ধান বিক্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতি এক কুইন্টালে ৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ধান বেশি নিচ্ছে। বেশি নেওয়ার কারণ উপস্থিত চাষিরাই জানিয়েছেন, আমাদের বোরো অর্থাৎ তাইচুং ধান অনেকেরই ভিজে রয়েছে। তার জন্য এই ৪ কেজি ৫০০ গ্রাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকারের ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ডেসিমলে ১৮ কেজি ধান কেনা হচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba medinipur, Tamluk