তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর: খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। আর প্রচলিত ধর্ম বৌদ্ধ একসময় প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিভিন্ন দেশে প্রভাব বিস্তার করে। বর্তমান সময়ে বৌদ্ধধর্ম বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম। প্রায় ৫২ কোটি মানুষ এই ধর্ম মেনে চলেন। একসময় ছাড়া ভারতবর্ষজুড়ে বৌদ্ধধর্ম ব্যাপক প্রভাব বিস্তার লাভ করেছিল। বাদ যায়নি অবিভক্ত মেদনীপুর। অবিভক্ত মেদিনীপুরে বৌদ্ধধর্ম তাম্রলিপ্ত, বাহিরি, মোগলমারি সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করেছিল। বিভিন্ন বিখ্যাত পরিব্রাজকের ভ্রমণ বিবরণীতে তাম্রলিপ্ত প্রদেশ প্রায় চৌদ্দটি বৌদ্ধ বিহার, দশটি সংঘরাম, এক হাজার বৌদ্ধধর্মের সন্ন্যাসীদের কথা উল্লেখ করেন। প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীর বর্তমান অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা হলেও এর মতে প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরীতে একসময় বৌদ্ধধর্মের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ Haldia News: সংস্কার হবে নালা নিকাশি! তবে কী এবার জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে হলদিয়াবাসী?
ইতিহাস গবেষকদের অভিমত অনুসারে বর্গভীমা স্থাপত্য রীতিতে বৌদ্ধমঠ বা বৌদ্ধ বিহার স্থাপত্য রীতির নিদর্শন পাওয়া যায়। তাম্রলিপ্ত, মুঘলমারী, বাহিরী, তিলদাগঞ্জ ইত্যাদি জায়গায় তার প্রমান পাওয়া যায়। সম্রাট অশোকের সময়ে তাম্রলিপ্তে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার ঘটেছিল। বৌদ্ধদের প্রাচীন ষোড়শ মহাস্থবিরের একজন ছিলেন তাম্রলিপ্তবাসী স্থবির কালিক। ২৪৩ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে সম্রাট অশোকের কন্যা সংঘমিত্রা বৌদ্ধদের আরাধ্য বোধিদ্রুম সিংহলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাম্রলিপ্ত বন্দর থেকে রওনা হয়েছিলেন। শকাব্দের তৃতীয় শতাব্দীতে দন্তকুমার তাঁর স্ত্রী হেমলতার সঙ্গে গোপনে বুদ্ধদন্ত নিয়ে তাম্রলিপ্ত থেকে সিংহল গেছিলেন। এ থেকে সহজেই বোঝা যায় একসময় বন্দরনগরী বা তাম্রলিপ্ত প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার লাভ করেছিল। শুধু তাম্রলিপ্ত নয়, অবিভক্ত মেদিনীপুরের বাহিরী,মোগলমারি তিলদাগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় বৌদ্ধ মঠ বা বৌদ্ধবিহারের নিদর্শন পাওয়া যায়। অবিভক্ত মেদিনীপুর একসময় বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী ছিল তা বলা যায়। Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba medinipur, Tamluk