#তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর: বাংলায় একটা প্রাচীন প্রবাদ আছে 'নদীর ধারে বাস, চিন্তা বারো মাস'। আর তা কার্যত সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী গ্রামের মানুষজনের কাছে। কেননা প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমা এলেই চিন্তা বাড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রূপনারায়ণ হুগলি হলদি নদ-নদী তীরবর্তী অঞ্চলের গ্রাম গুলির মানুষজনের। কেননা জোয়ারের সময় নদীর জল নদী বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে। ভেসে যায় ঘর বাড়ি। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ ইয়াস পরবর্তীকালে সম্পূর্ণরূপে নদী বাঁধ নির্মাণ না হওয়ার ফলেই এই দুরবস্থা তাদের নেমে এসেছে। ফলে প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারে ভীত সন্ত্রস্ত গ্রামবাসী। সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয় বর্ষাকালে।২০২১ সালের জুন মাসের শেষের দিকে ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকা।
ইয়াসের তীব্র জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক নদী ও সমুদ্র বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইয়াস পরবর্তী সময়ে ওই সব নদী বাঁধের মেরামতের কাজ শেষ হয়। তবে বেশ কিছু এলাকায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ নদী বাঁধ সম্পূর্ণরূপে মেরামত না হওয়ার কারণে প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের সময় তাদের ভোগান্তি পেতে হয়। রূপনারায়ণ নদের তীরবর্তী শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের মথুরি, বিশ্বাস, ধলহরা সহ একাধিক গ্রাম জোয়ারের সময় জলে ভাসে। অন্যদিকে সুতাহাটা ব্লকের হুগলি নদীর তীরবর্তী কুকড়াহাটি, এড়িয়াখালি সহ বেশ কিছু গ্রামে জোয়ারের সময় নদী বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে নদীর জল ঢুকে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ নদী বাঁধ সম্পূর্ণরূপে নির্মাণ না হওয়ার কারণেই জোয়ারের সময় নদীর জলস্তল বাড়লেই নদীর জলে প্লাবিত হয় গ্রাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মাস দুয়েক আগে নদী বাঁধ সম্পন্নরূপে নির্মাণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলির মানুষজন।
আরও পড়ুন - দিঘায় নুলিয়াদের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল একই পরিবারের তিনজনের!
এবার গুরু পূর্ণিমার ভরা কোটাল ও ঝড়ো হওয়ার কারণে উত্তাল নদ নদী সমুদ্র। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজনেরা আতঙ্কিত।যদিও উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী তথা তমলুক বিধানসভার বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। তিনি জানান, ' এটা কোটালের সময়। ফলে নদ নদী সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস। জলোচ্ছ্বাস কতটা হবে তা দেখে তো নদী বাঁধ নির্মাণ হয় না। উপকূলবর্তী অঞ্চলের বলব ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নদী বাঁধের কাজ চলছে। সেচ দফতর কাজ করছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।'
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba medinipur