হোম /খবর /পূর্ব বর্ধমান /
চাষের কাজে মালচিং-এর উপকারিতা কতটা জানেন কি? 

East Bardhaman News: চাষের কাজে মালচিং ব্যবহার করছেন বর্ধমানের বেশিরভাগ কৃষক 

আধুনিক চাষাবাদের এক উন্নত পদ্ধতি হল মালচিং।  যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

#পূর্ব বর্ধমান: আধুনিক চাষাবাদের এক উন্নত পদ্ধতি হল মালচিং। যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ফসলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া এ পদ্ধতির মাধ্যমে চাষের অনুকূল পরিবেশও তৈরি করা সম্ভব। ফলে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও মালচিং এর গুরুত্ব বাড়ছে। বহু চাষে এই মালচিং বাজার থেকে কিনে চাষের কাজে লাগাচ্ছেন। হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট থেকেও এই মালচিং পাওয়া যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কৃষককে এপ্লিকেশন জমা দিতে হবে ডিপার্টমেন্টে। মূলত ফল ও মিষ্টি কুমড়া, শসার চাষে এই মালচিং ব্যাবহার করা হচ্ছে জেলায়। সাদা আর কালো রঙের হয় এই মলচিং গুলি।৪ফুট চওড়া, লম্বা যে যেমন চায় কৃষকরা তেমনই নিতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক মালচিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

মালচিং কী:‘মালচিং’ এসেছে ‘মালচ’ শব্দ থেকে। ‘মালচ’ শব্দের অর্থ ‘মাটি ঢেকে দেওয়া’। মৃত অথবা পুরোনো, শুকনো বা কাঁচা পাতা, বিচালি বা খড়, কচুরিপানা প্রভৃতি দিয়ে মাটি ঢেকে চাষ করা হয়। যদিও মালচিং সম্পর্কে বর্ধমান জেলার অনেক কৃষকই জানেন না। তবে বর্তমানে হটিকালচার ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা, মালচিং সম্পর্কে অবগত করছেন কৃষকদের।

আরও পড়ুন: এই কৃষকদের পিএম কিষাণের টাকা ফেরত দিতে হবে, আপনার নাম আছে কি না দেখে নিন!

আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ফান্ডের গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে বদল আনল সেবি, বিনিয়োগকারীদের যা জানতেই হবে!

মালচিং ব্যবহারে সুবিধা: মালচিং পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করা হলে জল ও বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়। এ পদ্ধতিতে উৎপাদন চাষ করলে চাষের খরচ কমে দ্বিগুণ লাভবান হয় কৃষকরা। এছাড়াও ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং বিশেষভাবে উপকারী। কারণ, মালচিং ব্যবহারের ফলে মাটির রসের বাষ্পায়ন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ ফসল ক্ষেতের জল সূর্যের তাপ ও বাতাসে দ্রুত উড়ে যায় না। এই মালচিং প্লাস্টিকের ছিদ্র দিয়ে চারার শেকড়ে পৌঁছায় যায় জল। মালচিং ব্যবহারের ফলে বেশি আগাছা বের হতে পারে না। পাশাপাশি মালচিং ব্যবহারের ফলে পোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। বিশেষ করে ফলের রঙ নষ্ট হয় না এই মালচিং ব্যাবহারের ফলে। মালচিং প্লাস্টিকে সূর্যালোক প্রতিফলিত হয় ফলে ফলের রঙ ধারণে সহায়তা করে।কী ভাবে ব্যবহার করা হয় মালচিং:মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো জৈব সার মিশিয়ে চাষের জায়গা তৈরি করে, বেডে মালচিং পলিথিন বিছিয়ে দিতে হবে। বিছানোর সময় মনে রাখতে হবে পলিথিন টানটান করে বিছিয়ে দিতে হয়। পলিথিন বিছানো চাষের জমিতে ছিদ্র করে বীজ বপন বা চারা রোপণ করতে হবে। মালচিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো ড্রিপ বা বিন্দু সেচ। এমন সুযোগ যদি না থাকে তাহলে এক একটি সারির পর ছোট নালা তৈরি করেও সেচ দেওয়া যায়। প্লাস্টিকগুলো একাধিকবার একই ধরনের ফসলের চাষের ক্ষেত্র ব্যবহার করা সম্ভব।Malobika Biswas

Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:

Tags: Agriculture, Farming