#পূর্ব বর্ধমান: জনপ্রিয় শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকের জীবন খাতায় যেন 'হাম রহে - ইয়ে -না রহে কাল।' গানের এই কথা গুলিই লেখা ছিল। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই গানটি গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে হোটেলে ফিরেই সবাইকে আলবিদা জানান শিল্পী কেকে। তাঁর এমন করে চলে যাওয়াটা সবার কাছেই অপ্রত্যাশিত। তাই শুধু এই বাংলা নয় গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কেকে ভক্ত অনুরাগীরা শোকাহত। একই ভাবে শোকে আচ্ছন্ন বর্ধমান নিবাসী ভক্ত অনুরাগীরাও। তাঁরাও নিজের নিজের মতো করে ব্রতী হয়েছেন কেকের আত্মার শান্তি কামনায়।
শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকের সঙ্গে বর্ধমানের একটা আত্মিক টান ছিল। যোগাযোগও ছিল নিবিড়। ২০১৮ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের উৎসবে এসেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালেও বর্ধমানের কাঞ্চন উৎসব হাজির ছিলেন কেকে। তার অনবদ্য কণ্ঠে মুগ্ধ করেছিলেন বর্ধমানবাসীকে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে প্রতিবছর কাঞ্চন উৎসব হয়ে থাকে। ২০১৯ সালে যখন কেকে আসেন কাঞ্চন উৎসবে তখন অবশ্য খোকন দাস এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন।
এ বিষয়ে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসে বলেন, কেকের মৃত্যুতে কাঞ্চননগরের বাসিন্দারাতো বটেই গোটা বর্ধমান শহরের মানুষ আঘাত পেয়েছেন। হঠাৎ কেকের মৃত্যুর খবরে তিনিও হতবাক। কাঞ্চন উৎসবে তিনি গোটা এলাকার মানুষজনকে মাতিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর একের পর এক গানে সেদিন সন্ধ্যায় কাঞ্চননগরে জনজোয়ার তৈরি হয়েছিল। মানুষজন পাগলের মত উৎসব মাঠে ভিড় করেন কেকের গান শোনার জন্য। এছাড়াও ২০১৮ সালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সোস্যালেও উপস্থিত ছিলেন কেকে। সে দিনও মায়াবি কন্ঠে ভরা গান শোনার জন্য মাঠে ভিড় উপচে পড়ে ছিল।
ফলে মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে গাওয়া গানের কথায় কি কেকের জীবন খাতায় লেখা ছিল? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বর্ধমানবাসীর মুখে মুখে। বর্ধমান বাসীদের একাংশ বলেন, কেকে যখন বর্ধমানে এসেছিলেন গোটা বর্ধমান শহর মেতে উঠেছিল। তাঁর আসার খবর শুনেই গোটা শহর উচ্ছসিত ছিল। কাঞ্চন উৎসবে কেকে গাওয়া গান আজও কানে ভাসছে।
Malobika Biswas
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: KK