বর্ধমান: গ্ৰুপ ডি কর্মচারীর কাজ করছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষীকারা৷ নিজেরাই কেউ ঘন্টা বাজাচ্ছে, কেউ চা তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বেজায় সমস্যা শিক্ষক-শিক্ষীকাদের। গ্রুপ ডি কর্মচারী নেই ।আর এর জেরেই ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষীকারা।যাবতীয় কাজ এখন বিদ্যালয়ে এসে সামাল দিতে হচ্ছে ।
চা খাওয়া থেকে খাতাপত্র ঠিক করা এমনকী ঘন্টা বাজানোর কাজটাও করতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষীকাদের । এই প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বরূপ চৌধুরী জানান - খুবই সমস্যা হচ্ছে, স্কুলের গেট খোলা থেকে বন্ধ করা , ঘণ্টা বাজানো, জল সংগ্রহ সবই করতে হচ্ছে আমাদের । সব মিলিয়ে খুব চাপে আছি ।
কোনও কোনও সময় প্রধান শিক্ষককেও ঘন্টা বাজানোর কাজ করতে হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ২নম্বর ব্লকের,পাহাড়হাটি গানটে এলাকায় রয়েছে ভোলানাথ বিদ্যাপিঠ, এবং সেই ভোলানাথ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষীকারা পরেছেন চরম সমস্যায়।জানা গেছে সরকারি নিয়ম অনুসারে বিদ্যালয়ে দুজন গ্ৰুপ ডি কর্মী থাকা দরকার। সেই মত ছিলেন দুজন কর্মচারী।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই কমলো অশোধিত তেলের দাম! কলকাতায় কত হল দেখে নিনগত দু'বছর আগে একজন তার কর্মজীবন শেষ করে অবসর নেন।তারপর আর নিয়োগ হয়নি,অপরজন জিনি ছিলেন সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তার চাকরি বাতিল হয়েছে ।তিনিও আর বিদ্যালয়ে আসছেন না,আর এর ফলে যথেষ্ট সমস্যার তৈরি হয়েছে বিদ্যালয়ে। এই বিষয়ে স্কুলের শিক্ষিকা মৌসুমি ঘোষ বলেন- একজন গ্রুপ ডি এর কর্মী ছিলেন কিন্তু বেশ কিছু দিন হল তিনি আর আসছেন না জল ভরা, চা করা এখন সবই করতে হচ্ছে আমাদের। জুতো সেলায় থেকে চণ্ডীপাঠ করতে হচ্ছে আমাদেরই।
বর্তমানে নেই কোনও গ্ৰুপ ডি কর্মী।তাতে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষীকারা।পঠন পাঠানের বাইরে বিদ্যালয়ে আনুসঙ্গীক বহু কাজ এখন শিক্ষক শিক্ষীকাদেরি সামলাতে হচ্ছে।এর ফলে যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পরেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষীকারা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan