হোম /খবর /পূর্ব বর্ধমান /
ঠকিয়ে টাকা হাতিয়েছিল ঠগের দল, পাল্টা ফাঁদ পাতলেন প্রতারিতরা! বর্ধমানে কী ঘটল?

Purba Bardhaman: ঠকিয়ে টাকা হাতিয়েছিল ঠগের দল, পাল্টা ফাঁদ পাতলেন প্রতারিতরা! বর্ধমানে চাঞ্চল্য

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ৷

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ৷

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ভবন এবং কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায় এরকম প্রতারণা চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

বর্ধমান: সরকারি অফিসে তখন সবেমাত্র কাজকর্ম শুরু হয়েছে। এমন সময় বর্ধমান কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায় হৈ হৈ কাণ্ড। দলিল নকল করে প্রতারণার অভিযোগে দু’ জনকে সেখানে ধরে ফেলে প্রতারিতরা। তাঁদের দাবি, নকল দলিল তৈরি করে তাতে নিজেদের ছবি বসিয়ে প্রতারণা করছিল ওই চক্র। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়।

অভিযোগ, আসল মালিকের দলিলে নকল ছবি বসিয়ে প্রতারণা করছিল একটি চক্র। এরকম একটি চক্রকে এদিন বর্ধমান কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায় ধরে ফেলল প্রতারিত লোকজন। ভাতারের এক জমির মালিকের আসল দলিল হস্তগত করে সেখানে নিজের ছবি বসিয়েছিল কিছু প্রতারক।

সেই দলিলে উল্লিখিত জমি বিক্রির জন্য বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল ওই দালাল চক্র। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ওই দালাল চক্র তাদের প্রতারণার ফাঁদ পাতত বলে জানা গেছে। এই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিল ওই দালাল চক্র।

আজ ওই দালাল চক্রের লোকজনকে ফোন করে বাকি টাকা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। তখনই ওই প্রতারকদের ধরে ফেলেন প্রতারিত ব্যক্তি ও স্থানীয় লোকজন। বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ভবন এবং কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায় এরকম প্রতারণা চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ। এর আগেও এখানে কথাবার্তা বলার জন্য প্রতারিতদের ডেকেছিল তারা।

অভিযোগকারী সাধনা রাউত বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ।। আমরা রেলের জায়গায় থাকি। আমরা বাড়ি করব বলে জায়গা কিনতে উদ্যোগী হয়েছিলাম। গাঙপুরে আমাদের আমাদের জায়গা পর্যন্ত দেখানো হয়েছিল। চার কাটা জায়গা কেনার জন্য  আমি আশি হাজার টাকা এবং আমার মেয়ে তিরিশ হাজার টাকা দিয়েছিল।’

আরতি চৌধুরী নামে আর এক অভিযোগকারী বলেন, ‘আমাকে সাধনা রাউত বলল গাংপুরে ভাল জায়গা আছে, আমি কিনছি তুমিও কিনতে পারো। আমার সঙ্গে কথাবার্তা হওয়ার পর আমি ষাট হাজার টাকা বায়না দিয়েছি এবং কোর্টের সব কাগজপত্র করা হয়েছে। তারপরে জানতে পারলাম গোটা ব্যাপারটাই ভুয়ো।’ বর্ধমান থানাসূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করে এই চক্রের মাথা কারা তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Burdwan, Purba bardhaman