#পূর্ব বর্ধমান: অর্থ উপার্জনের আশায় নদিয়া থেকে বর্ধমান আসেন বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। খেজুর গাছ লিজে নিয়ে, গুড় বিক্রি করতে টানা পাঁচ মাস বর্ধমানের মির্জাপুর রায়পুরে থাকেন নদিয়ার গোটা কিছু বাসিন্দা। দীর্ঘ তিন বছর ধরে মির্জাপুর রায়পুরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় খেজুর গাছ থেকে গুড় সংগ্রহের কাজ করছেন তাঁরা। আর এরপর সেই গুড় বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন আব্দুল রাজ্জাক শেখ , কামালউদ্দিন শেখরা।খেজুরের গুড় বা নলেন গুড় ছাড়া শীতকালে পিঠে-পুলি, পায়েস ভাবাই যায়না। খেজুর গুড় বাঙ্গালির সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পশ্চিমবাংলার কয়েকটি জেলায় খেজুর গুড় তৈরির ধুম পড়ে যায়। সেই সব জেলার মধ্যে বর্ধমানও অন্যতম। গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে খেজুর গুড় তৈরি করেন রস সংগ্রহকারীরা। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ব্যস্ত থাকেন রস সংগ্রহ, রস গরম ও গুড় তৈরির কাজে।
আরও পড়ুন: চাকরি পেয়েও যোগ দেননি একশো জন অযোগ্য প্রার্থী! কমিশনের হাতে নয়া তথ্য
কাকভোরে এলাকার খেজুর গাছের থেকে রস সংগ্রহ ও গাছে পাত্রের ঝোলানো,এরপর সেই রস শালে নিয়ে গিয়ে একটি বড় সমতল পাত্রে ঢেলে তার ফোটানো- এ যেন তাদের রোজকার রুটিন। বিভিন্ন এলাকা থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করা দিনভর সে এক অদ্ভুত ব্যস্ততা গুড় কারবারিদের।নভেম্বর মাসে নদিয়া থেকে চলে আসেন তাঁরা। নিজেরাই ছোট্ট কুঠুরি বানিয়ে বাস করেন এখানেই। টানা পাঁচ মাস তাঁরা থাকার পর ফের ফিরে যান ঘরে। সেখানে গিয়েই উপার্জিত অর্থ দিয়েই কার্যত সংসার চালান। চাষাবাদ করেন।
মালবিকা বিশ্বাসনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan