কেতুগ্রাম: পড়ুয়া ছাড়াই চলছে স্কুল। অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হওয়ারই কথা। এমনই এক ঘটনা লক্ষ্য করা গেল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাটিকুরী জুনিয়ার হাই স্কুল থেকে। শিক্ষক আছে কিন্তু নেই শুধু স্কুলের পড়ুয়া। নিয়ম মেনে শিক্ষকরা স্কুলে এলেও বসে থেকেই কেটে যায় সময়। নিয়ম অনুযায়ী স্কুল খোলা থাকলেও নেই পড়ুয়াদের কোলাহল, পড়ার আওয়াজ। ধুলো জমেছে ব্লাকবোর্ড থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের বেঞ্চে। স্কুলে আছেন মাত্র দুই জন শিক্ষক , তাঁরা রোজ স্কুল আসেন তারপর অফিস রুমে বসে সময় কাটান , টিফিন খান তারপর নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল বন্ধ করে চলে যান। জানা যায় এই স্কুল শতাধিক পড়ুয়া নিয়ে শুরু হলেও এই বছর খাতায় কলমে একজন পড়ুয়ার নাম থাকলেও ,স্কুলে একজন পড়ুয়াও আসেন না।
আরও পড়ুনঃ শতাব্দী প্রাচীন বটগাছে বারে বারে রহস্যময় আগুন
গ্রামবাসীদের কথায়, দুজন গেস্ট টিচার স্কুলের দায়িত্বে থাকলেও কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই এই স্কুলে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পড়ুয়াদের লেখাপড়া ঠিক মত হয় না। সেই কারণেই এই স্কুলে কোনো পড়ুয়াকে ভর্তি করার বিষয়ে আগ্রহ দেখান না অভিভাবকরা।
এই প্রসঙ্গে স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, খাতায় কলমে এক জন পড়ুয়া থাকলেও বর্তমানে কোনও পড়ুয়া এই স্কুলে আসে না। তাঁরা জানান সম্ভবত সঠিক পরিকাঠামো না থাকার কারণেই স্কুলের এই হাল। আরও বলেন যে স্কুলে আসি বসে থাকি অফিসিয়াল কাজ থাকলে করি তারপর চলে যায়।
প্রায় তিন কাঠা জমির উপর রয়েছে তিন শ্রেণী কক্ষ, অফিস ঘর, রান্নার জায়গা সহ স্কুল ভবন । স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ মন্ডল ও নুরুল আমিন নামে দুজন অবসর প্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক । কিন্তু স্কুলে নেই পড়ুয়া। এই প্রসঙ্গে কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বি ডি ও অমিত সাউ বলেন, আমরা ঘটনাটা শুনেছি এবং যেটা জানতে পেরেছি যে পার্মানেন্ট শিক্ষক না থাকার কারণে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা তাঁদের ভর্তি করতে চাননা এই স্কুলে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রচার চালাচ্ছি এবং চেষ্টা করছি যাতে আবার চালু করা যায় স্কুলটা ।
Bonoarilal Chowdhuryনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Burdwan News