#রায়গঞ্জ: বিদায়ের শেষবেলাতেও উপকৃত বন্দর শশ্মশানঘাট বস্তির ছোট ছোট ছেলেরা। প্রিয়রঞ্জনের মরদেহ চিতায় উঠতেই শ্রদ্ধার্ঘ্যের স্তুপাকৃত ফুল সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পরল বন্দর শ্মশান এলাকার খুদেরা। ফুলরাশি থেকে প্লাস্টিকের ফুল সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রি করে দু’পয়সা উপার্জন করবে তারা। আর কিছু ফুল সাজাবে তাদের সরস্বতী পুজোমন্ডপে।
শেষ হলো একটি অধ্যায়। রায়গঞ্জ বন্দর শ্মশানেই প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সির দাহ হল। বন্দর এলাকাতেই বস্তি বাসিদের বাস।বন্দর শ্মশানেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীকে শয়ে শয়ে পুষ্পস্তবক নিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন নেতা-কর্মী থেকে অনুগামীরা।হাজার হাজার মানুষ সেখানে হাজির হয়ে প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
দেহের উপর থেকে পুস্প স্তবক সরাতে কংগ্রেস কর্মিদের হিমশিম খেতে হয়েছে। পুস্প স্তবক বন্দর শ্মশানঘাটে ফেলে রাখা স্তুপাকৃতি হয়ে যায়। বস্তিবাসির ছোট ছোট ছেলেরা ফুলরাশিই কিছুটা আয়ের পথ করেদিল। পুষ্পস্তবকগুলি থেকে বেছে বেছে প্লাস্টিকের ফুলগুলি খুলে নিয়ে তা জড়ো করছে তারা। এই প্ল্যাস্টিক ফুলগুলো তারা বিক্রি করবে বাজারে। কিছুটা হলেও সংসারের খরচ জোগাবে তা দিয়ে। তবে কিছু প্ল্যাস্টিক ফুল রেখে দেবে তারা সরস্বতীপূজার জন্য। এই ফুল দিয়েই তাদের সরস্বতী পুজোমন্ডপ সাজাবে তারা। কিছুদিনের জন্য হলেও এই খুদেদের মনেও ধরা দিয়ে গেলেন জননেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী।