#কলকাতা: পুলিশ আধিকারিককে হুমকি দিয়ে দলের রোষে অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য সমর্থন করে না দল। সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে, বীরভূম জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিমের মাধ্যমে সংযত হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের আচরণকে সমর্থন করে না দল ৷ বৃহস্পতিবার অনুব্রত মন্ডলের ব্যবহারের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷
বুধবার প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীকে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে হুমকি দেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ৷ সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও অনুব্রতর এমন আচরণকে সমর্থন করে না দল ৷
কৃষি জমি বাঁচাও রক্ষা কমিটির সভায় গোলমাল ও তৃণমূল কর্মীদের হেনস্থায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন ৷ ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশকে পদক্ষেপের জন্য চুড়ান্ত সময়সীমাও বেঁধে দেন তিনি ৷ বলেন,
অনুব্রত মন্ডলের এই বক্তব্য সামনে আসতেই প্রবল সমালোচনার ঝড় ওঠে ৷ বিরোধী থেকে দলের অন্দরেই ওঠে প্রশ্ন ৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা সমর্থনযোগ্য নয় ৷ মিডিয়ার সামনে যা আচরণ করেছেন ৷ দল তা সমর্থন করে না ৷’
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, দলের তরফে এ সম্পর্কে অনুব্রতকে সাবধানও করা হয়েছে ৷ বীরভূম জেলা সভাপতির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন ফিরহাদ হাকিম ৷
শুধু পুলিশ কর্মী নয়, প্রকাশ্যে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানকে মেরে হাত পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেন অনুব্রত ৷
অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে কখনও পুলিশকে বোমা মারার হুমকি। কখনও বা বিরোধীদের গুড়-বাতাসা, আবার কখনও বা ট্যাবলেট-ইনজেকশনের দাওয়াই। আর তার পালটা বলতে গিয়ে পিছিয়ে নেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিও।