গরম বাড়ছে হু-হু করে। সারাদেশে প্রবল গরমে অস্থির মানুষ। ঘরে ঘরে চলছে পাখা। শহরের মানুষ কিনে ফেলছেন এয়ার কন্ডিশনার, নিদেনপক্ষে একটি কুলার। কিন্তু এইসব যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষমতা সব মানুষের থাকে না। তাঁদের জন্য রয়েছে কাঠের কুলার।
এই ভারতবর্ষেই তৈরি হয় কাঠের কুলার যা দারুন বিশেষত্বপূর্ণ। সারা বিশ্বে একমাত্র রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলায় তৈরি হয় এই কাঠের কুলার। দাম কম হওয়ায় এই কুলারকে ‘আমজনতার এসি’ও বলা হয়। সারা বিশ্বে এধরনের কুলার আর কোথাও তৈরি হয় না তাই গরম পড়তেই ভিলওয়াড়ায় এসে জড়ো হয়েছেন নানা রাজ্যের মানুষ।
আরও পড়ুন: তুলসী গাছই ঘোচাবে অর্থাভাব! ফুলে, ফেঁপে উঠবে ধন-সম্পদ, জেনে নিন
ভিলওয়াড়া শহরের আরসি ব্যাস কলোনিতে কুলার তৈরি করেন জিতু গাওয়ারিয়া। তিনি বলেন কাঠের কুলার গ্রীষ্মকালে সাধারণ মানুষের কাছে একটি এসির মতো। কারণ এর থেকে ঘর যেমন শীতল হয়, তেমনি এই এসির দাম মাত্র দুই থেকে চার হাজার টাকা। জিতুর পুরো পরিবার বহু বছর ধরে এই কাঠের কুলার বিক্রি করে আসছে। তাঁরা নিজেরাই তৈরি করেন এই বিশেষ যন্ত্র। বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি জিতু এবং তার ভাই টিকাম।
গ্রীষ্মে কাঠের কুলারের চাহিদা থাকে তুঙ্গে, এমনই জানিয়েছেন জিতু। তাই শীত শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় কাঠের কুলার তৈরির কাজ। এই কাঠের কুলার তিন ধরনের আকারে তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন জিতু। আকার অনুযায়ী কুলারের দাম দুই থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশেও চাহিদা রয়েছে ভিলওয়াড়ার কুলারের। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং প্রযুক্তিকে ভর করে এখন ভিন রাজ্য থেকেও অর্ডার নিয়ে কুলার পৌঁছে দেন জিতুরা। এই কুলার কিনতে চাইলে ৮৮৯০৩২২৬৬২ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
জিতুর কাছ থেকে কাঠের কুলার কিনতে মধ্যপ্রদেশের নিমুচ থেকে এসেছিলেন মহম্মদ রইস। তিনি বলেন, ‘প্রায় দু’বছর আগে ভিলওয়াড়া থেকে কাঠের কুলার কিনেছিলেন। কম বাজেটে এত ভাল ঠান্ডা অন্য কোনও ভাবে পাওয়া সম্ভব নয়।’ তাঁর দাবি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ ঘর ঠান্ডা করে দেয় এই কুলার। তাই এবার তিন চারটি কুলার কিনে নিতে এসেছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Offbeat, Offbeats News