স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু তাও তাঁর অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর সন্তানকে পৃথিবীতে আনলেন স্ত্রী! চমকে গেলেন? কীভাবে এমনটা সম্ভব হল? স্বামী তো মৃত, আর যখন স্বামীর মৃত্যু হয়, তখন মহিলা অন্তঃস্ত্বা ছিলেন না! স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি গর্ভবতী হন, এবং তাঁর আর তাঁর মৃত স্বামীর সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান!
আরও পড়ুন: দুনিয়ার সবচেয়ে দামি ‘আলুভাজা’! ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসের দাম শুনলে চমকে উঠবেনতবে গোড়া থেকেই বলা যাক। ৩৩ বছরের লরেন তাঁর স্বামী ক্রিম-কে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। বিয়ের ১০ বছর কেটে গেলেও তাঁদের সন্তান হয়নি। আসলে বিষয়টি নিয়ে লরেন আর ক্রিম কখনও ভাবেননি। তাঁরা দুজনেই একটু সময় নিচ্ছিলেন। কিন্তু বিয়ের ১০ বছর কেটে যাওয়ার পর তাঁরা মনে করেন, এবার সন্তান হওয়া উচিৎ। সেইমতো পরিকল্পনা শুরু করেন! কিন্তু কথায় বলে না, নিয়তির উপর কিছু নেই! আপনি যতই প্ল্যান করুন, আপনার জীবনে কী হবে, তা আগে থেকেই ঠিক করা! আচমকাই একদিন ক্রিস-এর ক্যান্সার ধরা পড়ল। ব্রেনে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্রেন ট্যিউমার। এক লহমায় ক্রিম আর লরেনের হাসিখুশি ভরা জীবনে নেমে এল অন্ধকার কালো ছায়া!
আরও পড়ুন: কী দেখছেন, ওয়াইন গ্লাস না মুখ! উত্তরই বলে দিতে পারে আপনার মনে কী চলছে
লরেন জানতেন ক্রিম বাঁচবেন না, অথচ তিনি মা হতে চান, ক্রিম-এর সন্তানেরই মা হতে চান! কীভাবে সম্ভব হবে তা? অনেক ভেবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ক্রিম আর লরেন একটি উপায় বের করলেন! ক্রিমের কেমোথেরাপি শুরু হওয়ার আগেই তাঁর স্পার্ম সংরক্ষণ করে রাখা হল। ক্রিমের মৃত্যুর ৯ মাস পর সেই স্পার্ম ব্যবহার করে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে অন্তসত্বা হলেন লরেন, পৃথিবীতে এল লরেন আর ক্রিমের সন্তান।
একটি পডকাস্ট শোয়ে লরেন নিজের জীবনের ঘটনা তুলে ধরেন। জানান, ২০১৩-এ ক্রিসের ব্রেন ট্যিউমার ধরা পড়ে। ২০২০-তে তিনি মারা যান। ২০১৭-এ ক্রিমের শুক্রাণূ সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ক্রিমের মৃত্যুর পর ক্রিমের শুক্রাণূ ব্যবহার করেই মা হন লরেন। সন্তানের নাম রাখেন ম্যাক গ্রেগর, ক্রিমের পছন্দের নাম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Viral