পুজোর চারদিন মহামায়ার পাদপদ্যে অনেকেই অর্ঘ্য দেন ১০৮ টি লালপদ্ম। কেন এই উপাচার, কোন পৌরাণিক আখ্যান জড়িয়ে রয়েছে এই রীতির সঙ্গে তা অবশ্য আজও অনেকের অজানা।
সেই অপার রহস্যের জট খুলতে গেলে স্মরণ নিতে হবে কৃত্তিবাসী রামায়ণের। সেখানে রয়েছে পুরুষোত্তম শ্রী শ্রী রামচন্দ্র সমুদ্রতটে আশ্বিনের ষষ্ঠীর সকালে অকালবোধন করেছিলেন দেবীর। রাবণ বধে ব্রতী রামের এই আরাধনায় সঙ্গী হয়েছিলেন বিভীষণও। তার বুদ্ধিতেই দেবীকে তুষ্ট করার জন্য আনা হয়েছিল এই লাল পদ্ম। এই পদ্ম জোগাড় করেছিলেন পবনপুত্র হনুমান।
কথিত আছে যে হনুমান আসলে আনতে পেরেছিলেন ১০৭টি পদ্ম। তখন রামচন্দ্র দেবীর চরণে নিজের চক্ষুদ্বয় উৎসর্গ করতে উদ্যত হন। সন্ধিপুজোর সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই আবির্ভূতা হন দেবী, রামচন্দ্রকে অভীষ্টপূরণের বর দেন তিনি।
কালিকাপুরণে এমনও বলা রয়েছে যে ব্যক্তি ভক্তিভরে দেবীর পায়ে এই অর্ঘ্য দেন, অসংখ্য কল্পবাস শেষে তিনি রাজা হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাই মূলত বরপ্রাপ্তির আশায়, মনের ইচ্ছেপূরণের আশাতেই এই রীতির প্রচলন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: durga-puja-2020