নয়াদিল্লি: এই পৃথিবীতে প্রতিদিন কত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তার অনেক ঘটনার পিছনেই থাকে মানুষের অদ্ভুত শখ। প্রতিদিন নানা রকম কাণ্ডকারখানা করে পৃথিবীতে নিজের নাম উজ্জ্বল করে কত মানুষ। সেই সব কাজকে স্বীকৃতিও জানায় বিশেষ বিশেষ সংস্থা।
বেনারসের জগদীশ পিল্লাই তেমনই একটি নাম। এবার একটানা গান গেয়ে বিশ্ব রেকর্ডে নিজের নাম তুলেছেন তিনি। টানা ১৩৮ ঘণ্টা রামচরিতমানস গেয়ে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ দীর্ঘতম গানের রেকর্ড করে ফেলেছেন জগদীশ। জানা গিয়েছে, গোটা রামচরিতমানসের উপর তৈরি এই গানটি ১৩৮ ঘন্টা ৪১ মিনিট ২ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের। তবে এই প্রথম নয়। জগদীশ পিল্লাই এর আগেও বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। এই নিয়ে পঞ্চমবার ‘গিনেস বুক’-এ নিজের নাম তুলে ফেলেছেন তিনি। আর এই বিষয়ে গর্বিত গোটা কাশী ও ভারত।
আরও পড়ুন: ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে কী জানেন? কী এমন মিলল? ইডির পদক্ষেপে তোলপাড় বাংলা
আরও পড়ুন: সারারাত ধরে এ কী করল SFI! কলকাতায় চমকে দিল বাম ছাত্র সংগঠন
এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের দীর্ঘতম গানের রেকর্ডটি ছিল এক আমেরিকান নাগরিকের কাছে। তিনি গির্জায় ক্যারল গেয়ে এই রেকর্ড করেছিলেন। তবে তা অনেকাংশেই পুনরাবৃত্ত গান ছিল। জগদীশ জানান, ২০১৬ সালে ইন্টারনেটে এই রেকর্ড সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। আর তখনই নিজে ঠিক করে নেন দীর্ঘতম গানের রেকর্ড ভাঙবেন।
এরপরেই জগদীশ গবেষণা শুরু করেন। প্রথমেই তাঁর মাথায় আসে, পুনরাবৃত্ত গান করা চলবে না। এবিষয়ে তাঁর অনুপ্রেরণা ছিল ভারতের নানা ধর্মগ্রন্থ। রামচরিতমানস বা রামায়ণের মতো গ্রন্থে রয়েছে লক্ষাধিক শ্লোক, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আবৃত্তি করা যেতে পারে।
এর পর তিনি এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতে শুরু করেন। শুরু হয় গানের অনুশীলন। দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে তিনি ১৩৮ ঘন্টা ৪২ মিনিট ২ সেকেন্ডের গানটি প্রস্তুত করেন। ২০১৯ সালে এই গান রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু করেছিলেন জগদীশ। তারপরেই শুরু হয়ে যায় করোনা অতিমারী। ফলে রেকর্ডিং-এ বাধা পড়ে। কিছুদিন বিরতির পর আবার কাজ শুরু করেন তিনি। ২০২২ সালে শেষ হয় এই কাজ। হতাশ হননি জগদীশ, তাই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের দীর্ঘতম গানের খেতাব আসে তাঁরই কাছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।