পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চাঁদের অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন বৈদিক দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ থাকে নানা শুভ এবং অশুভ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৯ এপ্রিলের কিছুটা পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত মেনেই এই পঞ্চাঙ্গ বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার হল বৃহস্পতি এবং এই তৃতীয়া তিথি থাকবে ২৯ এপ্রিল রাত ১০টা ০৯ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি।
পঞ্চাঙ্গ মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৫টা ৪২ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৯ এপ্রিল রাত ৯টা ৩৯ মিনিটে । চন্দ্র অস্ত যাবে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা ২২ মিনিটে।
এই ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথির নক্ষত্র হল অনুরাধা। ২৯ এপ্রিল, দুপুর ২টো ২৯ মিনিট পর্যন্ত অনুরাধা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে মেষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে বৃশ্চিক রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- ২৯ এপ্রিল অভিজিৎ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে সকাল ১১টা ৫২ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে। আজ অমৃতকাল পড়েনি। এই অভিজিৎ মুহূর্ত এবং অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- পঞ্চাঙ্গ মতে ২৯ এপ্রিল রাহুকাল শুরু হচ্ছে দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ৩টে ৩৭ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Panchang