হোম /খবর /পাঁচমিশালি /
নামি-দামি সংস্থার চাকরি ছেড়ে বেচছেন ফুচকা! শুনে নিন MBA গোলগাপ্পাওয়ালার গল্প

Patna News: নামি-দামি সংস্থার চাকরি ছেড়ে বেচছেন ফুচকা! শুনে নিন MBA গোলগাপ্পাওয়ালার গল্প

পটনার এই বহুলচর্চিত গোলগাপ্পাওয়ালার নাম নিকেশ তিওয়ারি। ২০১২-১৪ সালে সিকিম মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছিলেন।

  • Share this:

পাটনা: গ্র্যাজুয়েট চা-ওয়ালির পরে এবার এমবিএ গোলগাপ্পাওয়ালা! আজকালকার চাকরির বাজার খারাপ। ফলে শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা ব্যবসা করার নতুন নতুন পথ বেছে নিচ্ছেন। তবে অনেকে আবার চাকরি করলেও সেই চাকরি ছেড়ে স্টার্ট-আপ খোলার কথা ভাবনা-চিন্তা করছেন। আর এমবিএ গোলগাপ্পাওয়ালা এই দ্বিতীয় দলেই পড়ছেন। পড়শি রাজ্য বিহারের রাজধানীতেই রীতিমতো তৈরি করছেন নজির। আজ তাঁর গল্পই শুনে নেওয়া যাক।

পটনার এই বহুলচর্চিত গোলগাপ্পাওয়ালার নাম নিকেশ তিওয়ারি। ২০১২-১৪ সালে সিকিম মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছিলেন। এর পর চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু তার পরেই মাথায় ঘুরতে থাকে স্টার্ট-আপ শুরু করার আইডিয়া। আর যেমন ভাবনা, তেমন কাজ! শুরু করে ফেলেন ফুচকার ব্যবসা।

আরও পড়ুন: দেখা করতে বলে পৌঁছেছিল দেরিতে, থাপ্পড়ে থাপ্পড়ে গাল লাল করল বন্ধু, ভিডিও ভাইরাল

কিন্তু এত ব্যবসা থাকতে কেন শুধুই গোলগাপ্পার ব্যবসায় এলেন তিনি? নিকেশ বলেছিলেন যে, গোলগাপ্পা এমন একটি খাবার, যা আট থেকে আশি - সকলেরই পছন্দ। আর এভাবে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সহজেই সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি আরও বলেন যে, এমবিএ করার পরে আমি নিজের একটা ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলাম। আর সবথেকে বড় কথা হল, বর্তমান পরিস্থিতিও স্টার্ট-আপের জন্য একেবারে আদর্শ। তাই আমার মনে হয়েছিল গোলগাপ্পার বাজার অনেক বড়। এই কারণে নিকেশ বেছে নিয়েছিলেন গঙ্গাপথে অবস্থিত মেরিন ড্রাইভকেই। এটাই সেখানকার স্ট্রিট ফুডের সবথেকে বড় জায়গা হিসেবে পরিচিত।

কিন্তু সেখানে ফুচকা বা গোলগাপ্পার তো প্রচুর দোকান! তাহলে কেন মানুষ নিকেশের স্টলে যাবেন? এই প্রসঙ্গে ওই যুবক জানান যে, গোলগাপ্পাকে অন্যদের তুলনায় আলাদা রূপে পরিবেশন করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। এই কারণে পাঁচটি ভিন্ন স্বাদের জলের এক অনন্য সমন্বয় তৈরি করেছিলেন নিকেশ। আর যা খুবই পছন্দ করেছেন গ্রাহকেরা।

নিকেশের এই স্টার্ট-আপে রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ! তাঁর স্টলে পাঁচ ধরনের পানিপুরি পরিবেশন করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল - পুদিনা পুরি, হিং পুরি, জলজিরা পুরি, খাট্টা মিঠা পুরি, তেঁতুল পুরি এবং দই পুরি। আসলে পটনায় দই পুরি এবং তেঁতুল পুরির স্বাদ তো সব জায়গাতেই পাওয়া যাবে। তবে পুদিনা পুরি, হিং পুরি, জলজিরা পুরি কিংবা খাট্টা-মিঠা পুরি সব জায়গায় মেলে না। আর দামও কিন্তু তেমন বেশি নয়। ৫টি ভিন্ন স্বাদের এক প্লেট পানিপুরি মিলবে মাত্র ২০ টাকায়। আবার এক প্লেট দই পুরির মূল্য ৩০ টাকা রাখা হয়েছে। আর এক প্লেটে থাকবে ৬টি দই পুরি।

Published by:Anulekha Kar
First published:

Tags: Offbeat