পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চাঁদের অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন বৈদিক দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ থাকে নানা শুভ এবং অশুভ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে। এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩ ফেব্রুয়ারির কিছুটা পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত মেনেই এই পঞ্চাঙ্গ বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার হল বুধ এবং এই ষষ্ঠী তিথি দুপুর ২টো ১২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এর পর শুরু হয়ে যাবে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি।
পঞ্চাঙ্গ মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৭টা ০৮ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ০২ মিনিটে। অন্য দিকে, রাত ১১টা ৫০ মিনিটে চন্দ্রোদয় হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে চন্দ্র অস্ত যাবে।
এই ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথির নক্ষত্র হল চিত্রা। ৩ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাত ৯টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত চিত্রা রাশির অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে স্বাতী নক্ষত্র। ৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এর অবস্থান থাকবে। সূর্য অবস্থান করবে মকর রাশিতে, অন্য দিকে চন্দ্র কন্যা রাশিতে সকাল ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করবে। এর পর চন্দ্র গমন করবে তুলা রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- ৩ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ মুহূর্ত পড়েনি। তবে অমৃতকাল শুরু হচ্ছে বিকেল ৩টে ০৪ মিনিটে, শেষ হচ্ছে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে। এই অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়। অশুভ মুহূর্ত- পঞ্চাঙ্গ মতে রাহুকাল শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ২টো ০৩ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।