হোম /খবর /পাঁচমিশালি /
জয় একাদশী ব্রত: স্বয়ং কৃষ্ণ বলেছিলেন যুধিষ্ঠিরকে আজকের দিনে কী করতে নেই!

জয় একাদশী ব্রত: স্বয়ং কৃষ্ণ বলেছিলেন যুধিষ্ঠিরকে আজকের দিনে কী করতে নেই!

jaya ekadashi 2021 check here to know muhurats rituals of this auspicious day

jaya ekadashi 2021 check here to know muhurats rituals of this auspicious day

স্বয়ং কৃষ্ণ এই জয় একাদশী ব্রতকথার মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করেছিলেন যুধিষ্ঠিরের কাছে, জানিয়েছিলেন আজকের দিনে কী করতে নেই!

  • Share this:

    প্রতি মাসেই শুক্লপক্ষে এবং কৃষ্ণপক্ষে একটি করে একাদশী তিথি পড়ে। বলা হয়, এই একাদশী তিথি ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়, এই দিনে উপাসনা করলে ভক্তের প্রতি প্রসন্ন হন তিনি। এর মধ্যে মাঘমাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিটি পরিচিত জয় একাদশী নামে। স্বয়ং কৃষ্ণ এই জয় একাদশী ব্রতকথার মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করেছিলেন যুধিষ্ঠিরের কাছে, জানিয়েছিলেন আজকের দিনে কী করতে নেই!

    প্রসঙ্গত, এই একাদশী তিথি থাকবে ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথি। জয় একাদশী ব্রতর পারণকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ৯টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত। পারণকাল মানে উপবাস ভঙ্গের সময়। যে কোনও ব্রতেরই একটি নির্দিষ্ট পারণকাল থাকে। সেই অনুসারে যাঁরা জয় একাদশী ব্রত রেখেছেন, তাঁরা এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কেবল উপবাস ভঙ্গ করবেন, অন্য সময়ে নয়।

    ব্রতকথা:

    বলা হয়, একদা দেবলোকে ইন্দ্রসভায় সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন পুষ্পদন্ত এবং চিত্রসেন নামে দুই গন্ধর্ব। পুষ্পদন্ত, তাঁর কন্যা পুষ্পবতী, চিত্রসেন, তাঁর স্ত্রী মালিনী, পুত্র পুষ্পবান এবং পৌত্র মাল্যবান গীতবাদ্যে তৃপ্ত করছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রকে। পরস্পরের অসামান্য রূপে সেই সভাস্থলে মুগ্ধ হন পুষ্পবতী এবং মাল্যবান, ফলে তাঁদের গানের সুরে ভুল হয়ে যায়। পরিণামে ইন্দ্রের শাপে মর্ত্যলোকে তাঁরা জন্ম নেন মানুষ হিসেবে। পরে নারদের পরামর্শে জয় একাদশী ব্রত পালন করে বিষ্ণুর কৃপায় তাঁরা শাপমুক্ত হয়ে আবার ফিরে যান দেবলোকে।

    বিষ্ণুকে প্রসন্ন রাখতে আজ কী করতে নেই:
    ১. জয় একাদশীতে অন্নগ্রহণ নিষিদ্ধ, পরিবর্তে অন্য কিছু খাওয়া যেতে পারে। তেমনই ময়দা এবং মধু ভক্ষণও শাস্ত্রসম্মত নয়।২. এই দিন যথাসম্ভব শান্ত ভাবে থাকতে হয়, নিজের আবেগ সংযত রাখতে হয়।৩. এই দিনটিতে ব্রহ্মচর্য পালন বাঞ্ছনীয়, অর্থাৎ ব্রত রাখলে শারীরিক সঙ্গমে রত হওয়া উচিৎ নয়।৪. জয় একাদশী তিথিতে কাউকে কটূ কথা বলা উচিৎ নয়, কারও সঙ্গে সংঘর্ষে যাওয়াও উচিৎ নয়।৫. এই দিনটিতে সায়ংকালে অর্থাৎ সন্ধ্যাবেলায় ঘুমানো উচিৎ নয়।
    First published: