#কলকাতা: জানকী জয়ন্তী অর্থাৎ জানকীর জন্মদিন! অনেকে আবার এই পুণ্যতিথিটিকে সীতা অষ্টমী বলেও অভিহিত করে থাকেন। কেন না, এই অষ্টমী তিথিতেই রাজা জনক লাভ করেছিলেন সীতাকে।
কিন্তু পঞ্জিকায় সীতার জন্মতিথি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। সাধারণত বলা হয়, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিটিই সীতা অষ্টমী। কিন্তু অমান্ত মতে ফাল্গুন নয়, মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে আবির্ভূতা হয়েছিলেন সীতা। এই মতভেদ অনুসারে দুই তিথিতেই জানকী জয়ন্তীর উৎসব উদযাপন করা হয়ে থাকে। গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং দেশের দক্ষিণ দিকে এই উৎসব বেশি জনপ্রিয়।
কখন সীতা অষ্টমীর পূজার্চনা করতে হবে?
পঞ্জিকা মতে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি ৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ শেষ হচ্ছে। অতএব তার আগেই মাতা সীতার উপাসনা করতে হবে। মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামের সঙ্গে তাঁর যৌথ পূজা প্রশস্ত।
জানকী জয়ন্তীর ব্রত উদযাপনে কী ফল লাভ হয়?
এই পূজা বৈবাহিক জীবনে সুখ নিয়ে আসে। স্বামী দীর্ঘ আয়ু লাভ করে থাকেন। আবার, কুমারী নারীরা এই ব্রত উদযাপন করলে পছন্দমতো স্বামীলাভ করেন বলে বিশ্বাস!
কী ভাবে উপাসনা করতে হয় মাতা সীতার?
অষ্টমী তিথিতে সকালবেলা স্নান সেরে নিয়ে সারা দিন শুদ্ধাচারে উপবাস রক্ষা করতে হয়। মাতা সীতার পছন্দের রং হলুদ, তাই এই দিনটির সন্ধ্যা পূজায় হলুদ রংকে প্রাধান্য দিতে হয়। সীতা-রামের ছবি বা মূর্তির কপালে দিতে হয় হলুদ এবং চন্দনের ফোঁটা। এর পর সীতা মাতাকে নিবেদন করতে হয় হলুদ ফুল, হলুদ বস্ত্র, সিঁদুর সহ শৃঙ্গারের ষোলটি সামগ্রী। সব শেষে দীপ এবং ধূপে আরতি করতে হয় দেবদম্পতির।
রাজা জনকের গৃহে কী ভাবে আবির্ভূতা হয়েছিলেন দেবী সীতা?
বলা হয়, একদা মিথিলা নগরী কষ্ট পাচ্ছিল দুর্ভিক্ষ এবং খরায়। তখন পুরোহিতেরা রাজা জনককে যজ্ঞ এবং হলকর্ষণের পরামর্শ দেন। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাজা যখন জমিতে হলকর্ষণ করছেন, সেই সময়ে হলের মুখে একটা কিছু ঠেকে যায়- মাটি খুঁড়ে রাজা লাভ করেন কন্যাসন্তান। হলের রেখায় তাঁকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তাই নাম রাখা হয় সীতা।