কলকাতা: দেশ ও বিশ্বে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছে মানুষ। এই প্রযুক্তি এক শহর থেকে অন্য শহরের দূরত্বও কমিয়ে দিয়েছে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন, প্রযুক্তিও এক শহর থেকে অন্য শহরের দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে।
অনেক সময় আপনি ব্রিজ ধরে কোনও নদী পেরনোর সময় নিশ্চয়ই ভেবেছেন, প্রবাহমান নদীর উপর কীভাবে সেগুলি তৈরি হয়! এত বড় ব্রিজ তৈরি করে কারা! কীভাবেই বা করে!
সমুদ্র এবং বড় নদীর উপর নির্মিত সেতুগুলো তৈরির কাজ সহজ নয়। এই সেতুগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখা পিলারগুলো বেশ মজবুত। বছরের পর বছর সেগুলো এত ভার বহন করে চলেছে।
আরও পড়ুন- টাইটানিকের ১১১ বছরের পুরনো মেন্যু ভাইরাল!
জল প্রবাহের গতি, জলের নিচের মাটি কী অবস্থা, সেতুর মোট ওজন, জলের গভীরতা ও তার ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনসহ সেতুর ওজন- এত কিছু নিয়ে গবেষণার পর তৈরি হয় ব্রিজ।
এত গবেষণা করে তবেই কাজ শুরু হয়। নদী ও সমুদ্র জুড়ে তিন ধরনের সেতু তৈরি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, বিম ব্রিজ এবং আর্চ ব্রিজ।
নদী ও সাগরের ওপর নির্মিত সেতুগুলোর অধিকাংশ উপকরণ আগেই প্রস্তুত করা হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভাষায় এগুলোকে বলা হয় প্রি-কাস্ট স্ল্যাব। এগুলোর সংযোগ দিয়েই সেতু তৈরি করা হয়।
প্রথমে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তার পর উপরের অংশের কাজ শুরু হয়। স্তম্ভগুলির ভিত্তি স্থাপনের প্রক্রিয়ার প্রথমে কফরডাম স্থাপন করা হয়। Cofferdam হল একটি বড় লোহার ড্রাম যা পিলারটি যেখানে স্থাপন করা হবে, সেখানে বসানো হয়।
এটি জলের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজন অনুযায়ী, তাদের আকৃতি বৃত্তাকার বা বর্গাকার রাখা হয়। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, জলের গভীরতা এবং জলের প্রবাহের ভিত্তিতে সেগুলির আকার নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন- বিলুপ্ত হবে ভারতেই এই ৫ জায়গা! মুছে যাবে মানচিত্র থেকে, কারণ জানলে হতবাক হবেন
কফরড্যাম পেতে দেওয়ার পর জল তার চারপাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তার ভিতরে যায় না। কফার্ডামে ভরা জল পাইপের মাধ্যমে বের করা হয়। এর নিচে মাটি দেখা দিতে শুরু করলেই কাজ শুরু হয়।
ইঞ্জিনিয়াররা তখন সিমেন্ট, কংক্রিট ও বারের সাহায্যে শক্ত পিলার তৈরি করেন। এর পর অন্য জায়গায় তৈরি সেতুর প্রি-কাস্ট স্ল্যাব এনে পিলারের ওপর বসানো হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।