#নয়াদিল্লি: একই রায়ে গোপনীয়তা, রাষ্ট্রের নজরদারি, সমকামিতা, গর্ভপাত ও খাদ্যভ্যাসের অধিকার নিয়ে চর্চা। বৃহস্পতিবারের রায়ে যেন প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিলেন সর্বোচ্চ আদালতের নয় বিচারপতি। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু আধার কার্ড নয় আরও অনেক বিষয়কেই আলোচনার বৃত্তে টেনে আনল সুপ্রিম কোর্ট। উসকে দিল আইন সংশোধনের প্রশ্ন। গোপনীয়তার অধিকারের আওতায় বহু বিষয়, মোট ৫৪৭ পাতার রায়ে জানাল সুপ্রিম কোর্ট ৷
আধার কার্ডে তথ্যের সুরক্ষাকে ঘিরে সংশয়। কেন্দ্র যেভাবে আধারকে প্রতিিট ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করে তুলছে মামলা তার বিরুদ্ধেও। সেই মামলার রায়ই এবার বহু বিষয়ে আলোচনার পথ খুলে দিল। দেশের বর্তমান আইনকানুনের ক্ষেত্রে যার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী।
কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যে রাষ্ট্র দ্বারা টেলিফোনে আড়িপাতা বা ইন্টারনেট হ্যাক করার প্রবণতা এমন একটা বিষয় যা গোপনীয়তার মধ্যে পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে সমস্ত নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে সেই সুবাদেই একথা উল্লেখ করা হল’ ৷
অর্থাৎ, দেশের বিভিন্ন বাহিনী যেভাবে মোবাইল সংস্থাগুলির কাছ থেকে কথোপকথন বা অবস্থানের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে তা আর সহজ রইল না। আরও কঠিন হবে আড়িপাতা। কারণ নির্দিষ্ট যুক্তি ও অনুমতির ভিত্তিতেই তা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট বলছে -
ব্যাঙ্ক ও বিমান গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ছিলই। তা আরও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন বলা হয়,
এই নির্দেশে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া বাহিনী। গো রক্ষার নামে যেভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছিল তা এবার অপরাধ বলে গণ্য হবে। লভ জেহাদের নামে অত্যাচার অসাংবিধানিক আখ্যা পাবে। মহিলাদের পোশাক নিয়ে নীতি পুলিশগিরি বন্ধ হবে।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন স্পষ্ট করে,
এর ফলে স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে নতুন করে আইনি বিতর্কের জমি তৈরি করে দিল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে,
সমকামিতা এখনও এদেশে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুপ্রিম কোর্টের রায় এ নিয়েও নতুন করে ভাবনা-চিন্তা বা আইন তৈরির পথকে প্রশ্বস্ত করল।
মূলত আধার কার্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অতি-সক্রিয়তার বিরোধিতা করে ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে যান কর্নাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে কে পুত্তুস্বামী। তাঁর পাঁচ বছরের নিরলস লড়াই-ই খুলে দিল আরও অনেক আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের পথ ।