#শিলিগুড়ি: ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ! তারপর নেশার ইঞ্জেকশন দিয়ে বেহুঁশ করে মহিলাদের পাচার করা হত! এই অভিযোগের মূল পাণ্ডা গ্রেফতার। ধৃতের নাম রাহুল সরকার ওরফে সাফিজুল ইসলাম। গ্রেফতার তার সঙ্গী উত্তম সূত্রধরও। ২০১৬ থেকে এই কাজ চালিয়ে আসছিল ধৃত রাহুল ও তার সঙ্গীরা। উত্তরবঙ্গের একাধীক থানায় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির মহিলা থানা, হলদিবাড়ি, মেটেলি, ভক্তিনগর থানাতেও অভিযোগ রয়েছে। মূল পাণ্ডা অসমের কোকড়াঝারের বাসিন্দা। অসম থেকে এসে উত্তরবঙ্গে এই চক্র চালাত সে। ৬ বছরের মাথায় অবশেষে পুলিশের জালে। গত ৬ মে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাগডোগরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। ধৃতকে জেরা করেই সঙ্গীর নাম উঠে আসে। সঙ্গীর বাড়ি ভক্তিনগর থানা এলাকার দশরথপল্লিতে। সেই বাড়িই ছিল আস্তানা! তরুণী, মহিলাদের ওই বাড়িতে নিয়ে আসা হত। তারপর ধর্ষণ করা হত বলে অভিযোগ। ধর্ষণের পর অন্যত্র পাচার করা হত।
ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমে পাচার হওয়া শিলিগুড়ির তিন তরুণীকে উদ্ধার করেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কীভাবে মহিলাদের ফুঁসলিয়ে আনত ধৃত পাচারকারী তার চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে তদন্তকারী অফিসারেরা। শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) শুভেন্দ্র কুমার জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই এই চক্র চালছিল। দীর্ঘদিন অধরাই ছিল। নিজের পরিচয় গোপন রেখেই এই চক্র চালিয়ে আসছিল সে। অবশেষে সাফল্য এসছে। ভক্তিনগর এবং শিলিগুড়ি মহিলা থানার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা চলছে।
আরও পড়ুন রুবি মোড়ের নাম বদলে হচ্ছে রবি মোড়, বসছে ১ লক্ষ টাকার রবীন্দ্রনাথের মূর্তি
উত্তরবঙ্গের অন্য থানাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু পুলিশের। আরো কতজন তরুণী এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছিল, তা উদ্ধার করতে চায় পুলিশ। অন্য থানার অভিযোগ হাতে পেলেই তদন্তে আরও গতি পাবে। পাচার হওয়া মহিলাদেরও উদ্ধার সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North bengal news, Rape