Uttam Paul
#ইটাহার: ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে ইটাহার থানার হাঁসুয়া গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর ঘোষ নামে এক যুবকের মৃত্যু হল। আজ দেহ গ্রামের ফিরতেই পরিবার সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা গিয়েছে, ইটাহার থানার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাঁসুয়া গ্রামের বাসিন্দা বাবলু ঘোষের ছেলে দিপঙ্কর ঘোষ মাস খানেক আগে মুম্বই গিয়েছিলেন। সেখানে নির্মাণ সংস্থার কাজ করতেন তিনি। গত ১৭ ডিসেম্বর কাজ করার সময় পা হড়কে দশ তলার উপর থেকে পড়ে যান দীপঙ্কর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় । আর্থিক অনটনের কারণে তাঁর দেহ আনতে সমস্যায় পড়েন পরিবারের লোকজন।
অবশেষে শ্রমিকের দেহ বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ । আর্থিক সাহায্যে আজ দীপঙ্করের মৃতদেহ হাঁসুয়া গ্রামে পৌছায়। মৃত দীপঙ্করের স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষ সন্তানসম্ভবা । এ দিন দেহ হাঁসুয়া গ্রামে ফিরতেই স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও গ্রামের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত দীপঙ্করের প্রতিবেশী সিতেন বর্মন জানান, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে রেখে অর্থ উপার্জনের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা মা। গত ১৭ ডিসেম্বর তাঁর বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌছাতেই পরিবারের উপর আকাশ ভেঙে পড়ে। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবার মুম্বই থেকে দেহ আনতে চরম সমস্যায় পড়েন।
দীপঙ্করের পরিবারের এই অসহতায় কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসে নির্মাণকারী সংস্থা। সেই সংস্থার আর্থিক সহায়তাতেই দেহ ইটাহারের হাঁসুয়া গ্রামে পৌঁছয়। তাঁর দেহ গ্রামে পৌছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্য সহ গ্রামবাসীরা।
সিতেনবাবু জানান, যে পরিবারে একমাত্র উপার্জনের ব্যাক্তির মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়ল। তাঁরা কী খাবেন, কী করবেন, কিছুই বুঝতে পারছে না। সরকার তাঁদের পাশে এসে না দাঁড়ালে বাকি সদস্যদের অনাহারে, অর্ধাহারে মৃত্যু ঘটবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দূর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। মৃত দীপঙ্করের বাবা বাবলু ঘোষ জানান, বাবা মার পাশে দাঁড়াতেই সন্তানসম্ভবা স্ত্রী’কে রেখে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর। সেখানে রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। প্রতিদিন সে তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। ঘটনার দিনও দুপুরে টিফিনের সময় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই এই দুঃসংবাদটি এসে পৌঁছয়।