#দার্জিলিং: একেই পাহাড়ি রাস্তার পরিসর ছোটো। ফুটপাত দিয়ে হাঁটা দায়। তারওপর সেই ফুটপাত দখল করেই চলছে ব্যবসা। এই ছবি ক্যুইন্স অব হিল দার্জিলিংয়ের। আর এ নিয়েই পুরসভা, পুলিশ এবং হকারদের মধ্যে টানাপোড়েন আকছার ঘটে। স্থায়ী কোনও সমাধান বের হয়নি এ পর্যন্ত। গত ২০২০-র ঘটনা। হকার উচ্ছেদের নোটিশ দেয় পুর কর্তৃপক্ষ। পালটা পথে নামে হকারদের সংগঠন। কয়েক দফায় আলোচনা চলে। শেষে স্থির হয়, দিনভর নয়, বিকেল ৫টা থেকে ফুটপাতে ব্যবসার ডালি নিয়ে বসতে পারবে হকারেরা। কিন্তু স্থায়ী সমাধান সূত্র অধরাই।
তাই আসন্ন পুরভোটে দার্জিলিংয়ে অন্যতম ইস্যু হকারদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান। পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলই তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে বিষয়টি রেখেছে। হকারদের সংখ্যাও কম নয়। কেউ রাস্তার ধারে চাদর, শাল, সোয়েটার, মাফলার নিয়ে বসে। কেউবা মোমো, থুকপার মতো ফাস্টফুডের ডালি নিয়ে। পর্যটনের শহরে পাহাড়ের একটা বড় অংশের মানুষের জীবীকা নির্ধারনের মাধ্যম এই ফুটপাতের ব্যবসা। অথচ এর আগে হাজারও প্রতিশ্রুতি মিললেও স্থায়ী পুনর্বাসন পায়নি পাহাড়ের হকারেরা। উলটে মাঝেমধ্যেই পেয়েছে উচ্ছেদের নোটিশ।
আরও পড়ুন: কটাক্ষের 'ডোল রাজনীতি'ই অশোকনগর পুরভোটে অস্ত্র সিপিআইএমের, নকলের অভিযোগ তৃণমূলের
চৌরাস্তার ধার ধরে কিংবা ক্লাব সাইড রোড অথবা মহাকাল মন্দিরের পাশ হকারদের মূলত আস্তানা। এর আগে তাঁর আমলে কয়েক জায়গায় হকারদের বসানো হয়েছিল। তবে স্থায়ী সমাধান হয়নি। এবারে নির্বাচনে জিতে এলে হকারদের নিজেদের নামে দোকানঘর তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান বিমল গুরুং। অনীত থাপার কথায়, তাদেরও ইচ্ছে হকার্স হাউস তৈরী করা। বোর্ডে এলে হকারদের সঙ্গে কথা বলেই তা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা জানান, এর স্থায়ী সুষ্ঠ সমাধান জরুরী। এমন জায়গায় পুনর্বাসন করা হবে যেখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে। না হলে তো বিক্রি হবে বা ওদের পণ্যসামগ্রী। ভোট আসে, ভোট যায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও মেলে অঢেল। তবে এ বারে শৈলশহরের হকারেরা চান স্থায়ী সমাধান। আর যেন উচ্ছেদের নোটিশ হাতে না আসে।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।