#শীতলকুচি: সংঘাত চরমে। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাত শুরু হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা রাজ্য সরকারের। রাজ্যপাল ধনখড়ের কোচবিহার সফরকে ঘিরে আগেই সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠিও লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যপাল ধনখড় সরকারি নীতি ও প্রোটোকল মেনে চলছেন না। এর পরই অবশ্য জবাব ধেয়ে আসে রাজ্যপালের তরফে। মমতাকে চিঠিতে তিনি লেখেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ, আপনার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করুন ৷ শপথ নেওয়ার পর সংবিধানের প্রতি আপনিও দায়বদ্ধ ৷ এই কঠিন সময়ে মানুষের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে হবে ৷ এর জন্য সংবিধানের নিয়ম মেনে সবরকম সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত ৷' যদিও বৃহস্পতিবারই কোচবিহারে গিয়ে চূড়ান্ত বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল। প্রথমে জোড়পাটকি ও পরে দিনহাটায় কালো পতাকা দেখানো হয় ধনখড়কে। এরপরই রাস্তায় নেমে পড়েন তিনি। আইসি-কে ধমক দিয়ে বলেন, 'যা খুশি তাই হচ্ছে, কোনও আইন নেই।'
এদিন রাজ্যপালের কোচবিহার সফরে শুরু থেকেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণ এবং তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায়। তাঁদের পাশে নিয়েই রাজ্যপাল বলেন, 'সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। সব মানুষ বলছেন, তাঁরা গণতন্ত্রে শ্বাস নিতে চান।'
কোচবিহার সফর প্রসঙ্গে বলেন, 'এখানে যখন আসার কথা ভাবছিলাম, তখনই ভয়ঙ্কর তথ্য পেয়েছিলাম। আর এখানে আসার পর বুঝলাম, তাণ্ডব নৃত্য চলছে। লোকে জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছে। মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সব সম্পত্তি লুঠ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের কেউ আসেনি। পুলিশে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে মানুষ।'At Coochbehar. Visited several affected areas. Distressed at grim scenario. After listening to tales of sorrow no tears left in my eyes. Never imagined severity of post poll retributive violence @MamataOfficial was much beyond. One is made to pay with life and rights for voting!
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 13, 2021
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শীতলকুচি-সহ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। এর আগেই অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুমুল সংঘাত বাধে ধনখড়ের। কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সফরের কথা জানিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল, কেন রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে সফরের বিষয়ে জানানো হল না, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল জেলা সফরের সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা জানানোর নিয়ম রাজ্যপালের সচিবের। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ১৩ মে কোচবিহার সফরের সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। যা সরকারি নিয়ম-নীতির বিরোধী।
যদিও সে সবের তোয়াক্কা না করে রাজ্যপাল কোচবিহার সফরে যান। আর সেখান থেকেই একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। পাল্টা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, 'রাজ্যপাল নিজেই গিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছেন। রাজ্যপাল আসলে সেয়ানা পাগল।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।