#মালদহ: গত কয়েক দিনে বৃষ্টি নেই। খটখটে রৌদ্দুর আর মাথার ওপর ঝকঝকে নীল আকাশ । তবুও হাঁটুজল ভেঙে যাতায়াত করছেন পথচারী। জলের উপর দিয়েই চলছে যানবাহন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা নয়াটোলা গ্রামের মানুষের এই সমস্যা ফি বছরের। প্রশাসনিক মহল সবই জানে। কিন্তু বাসিন্দাদের আক্ষেপ, সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই।
বর্ষা শুরু থেকেই চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়াটোলা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। কারণ গ্রামের যোগাযোগের রাস্তা জলের তলায়। প্রায় পাঁচশো মিটার পাকা রাস্তার উপর দিয়ে বইছে জমা জল। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন হাজারেরও বেশি মানুষ। এলাকায় দৈনিক বাজার, রেশন দোকান, ব্যাংক, স্কুল, গ্রাম পঞ্চায়েত সবক্ষেত্রেই যেতে হয় এই রাস্তা পেরিয়ে। একদিন বৃষ্টি হলে দিনের-পর-দিন জমে থাকে জল। ফলে বর্ষার শুরু থেকেই নিত্যযাত্রী থেকে গাড়িচালক সকলেই পড়েছেন চরম সমস্যায়। জলবন্দি রাস্তায় মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। জমা জলে বাড়ছে রোগব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কা। কিন্তু, সাধারণ মানুষের সমস্যা মেটেনা। এতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও ক্ষোভ প্রশাসনিক উদাসীনতায়।হরিশ্চন্দ্রপুরের নয়াটোলা গ্রামে রাস্তার ওপর থেকে জল নামাতে ইতিমধ্যে পাম্প সেট চালিয়ে জল বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তুলসিহাটা পঞ্চায়েত উপপ্রধান আব্বাস আলী। তাঁর দাবি, এলাকায় রাস্তার পাশের নর্দমা তৈরি হয়নি। ফলে সমস্যা হচ্ছে। নর্দমা তৈরির মত টাকার ব্যবস্থা পঞ্চায়েতের নেই। ফলে সমস্যার কথা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এলাকায় রাস্তায় দীর্ঘদিন জল জমে থাকার সমস্যা কথা স্বীকার করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য। তাঁর সাফাই, বছর দুয়েক আগে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে জেলা পরিষদ এলাকায় পাকা রাস্তা করেছে। জল নিকাশিল হাইড্রেন তৈরির জন্যও পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছে জেলা পরিষদ। বর্ষা একটু কমলে কাজ শুরু করা হবে।
Published by:Pooja Basu
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।