#শিলিগুড়ি: "উত্তরবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের সরকার কোনও উন্নয়নই করেনি। বাম আমলে পিছিয়ে থাকা উত্তরবঙ্গে পরিবর্তনের পরও হাল ফেরেনি। যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে। অবহেলিত, বঞ্চিত তকমা সরেনি নামের আগে থেকে। পিছিয়ে থাকা উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।" 'উত্তরে পরিবর্তন' যাত্রা শুরুর আগের দিন অর্থাৎ বুধবার শিলিগুড়িতে এই অভিযোগই করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
আর যেদিন এই অভিযোগ বিজেপির, সেদিনই উত্তরবঙ্গে জোড়া সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। কাল কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসে পৌঁছে গিয়েছেন। শিলিগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য কোনও ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়নি। মুখে অনেক কথা বললেও বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মন্ত্রী গৌতম দেব উন্নয়ন নিয়ে কিছুই বলতে পারেনি।
তাঁর দাবি, একুশে রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। পালটা বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, "উনি (শমীক ভট্টাচার্য) তো এখন বিধানসভায় নেই। ২০১৬-র আগে পাঁচ বছর ছিলেন।" রাজ্যে পালা বদল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "সাত মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না। আর মাসির কবে গোঁফ হয়ে মামা হবে সেদিন দেখা যাবে।"
গৌতম দেব পালটা বলেন, "গত ১০ বছরে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। একাধিক নতুন সেতু হয়েছে। রাজ্যের বৃহত্তম জয়ী সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। একাধিক নতুন স্কুল, কলেজ, আইটিআই হয়েছে। জাতীয় সড়কের জট কাটানো হয়েছে। বাগডোগরা, কোচবিহার, মালদা বিমানবন্দরের জন্যে জমি দেওয়া হয়েছে। সব জেলাতেই মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জলপাইগুড়িতে তৈরি করা হয়েছে। সাফারি পার্ক তৈরি করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে ২৫ থেকে ৩০টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি।" সবমিলিয়ে নির্বাচনের আগে দুই ফুলের লড়াইয়ে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ।