মালদহ: কেউ দিলেন কায়িক শ্রম। কেউ দিলেন নগদ অর্থ। গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই গ্রামে পাকা রাস্তা তৈরি হল পুরাতন মালদহে। সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটরা এলাকায় ধরা পড়ল এমনই ছবি। প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ কংক্রিট রাস্তা তৈরি করলেন গ্রামবাসীরা। খরচ হয়েছে ছয় লক্ষাধিক টাকা।
পুরাতন মালদহে কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ভাটরা। এলাকায় টাঙ্গন নদীর ধারে রয়েছে বিস্তৃত কৃষি জমি, যার সবটাই অত্যন্ত উর্বর আর তিন ফসলী। বছরভর ধান, গম, সর্ষে, রকমারি সবজি চাষ হয় এলাকায়। এলাকার নিত্যানন্দপুর, সুজাপুর, ভাটরা, মাধাইপুর, রসিলাদহ এমন একাধিক গ্রাম মিলিয়ে কৃষিজীবী মানুষের সংখ্যা কয়েক হাজার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে পাকা হয়নি। কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে সমস্যায় পড়তে হয়। বর্ষার সময় প্রায় হাঁটু সমান কাঁদা জল থাকে বিভিন্ন এলাকায়। ফলে বছরে তিনবার ফসল হলেও সেই ফসল ঘরে নিয়ে আসতে কার্যত প্রাণপাত করতে হয় চাষীদের। এরপরও ফসল বাজারে বা বাড়িতে আনতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সমস্যা আরও বাড়ে কারণ ওই এলাকায় বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। প্রায়ই এলাকায় ছোট বড় দুর্ঘটনা হয়। একাধিকবার রাস্তায় উল্টে গিয়েছে ট্রাক্টর-সহ অন্যান্য গাড়ি। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বারবারই স্থানীয় পঞ্চায়েতে অসুবিধের কথা জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। এই অবস্থায় নিজেরাই চাঁদা তুলে, সাহায্য ও সহযোগিতার সংগ্রহ করে গ্রামে রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগেও একইভাবে এলাকায় পাকা রাস্তা তৈরি করেছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা ধাপে ধাপে তৈরির কাজ চলছে। গ্রামীণ মানুষ আর চাষীদের সাহায্য একত্রিত করেই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে যাতে আগামী দিনে ধান-সহ অন্যান্য ফসল সহজে বাজারে পৌঁছনো যায়। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, কেউই সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলেও ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও কেন সরকারি উদ্যোগ নেই ? এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীরা বলেন, তাঁরা আশাবাদী আগামীতে সরকারি সাহায্য মিলবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda