কালিম্পং: দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গের মালদহ-বালুরঘাটেও কার্যত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি৷ স্বভাবতই গরম থেকে বাঁচতে দিন কয়েকের জন্য দার্জিলিং সহ পাহাড়ে কদিন কাটিয়ে আসার পরিকল্পনা করে বেরিয়ে পড়েছিলেন৷
পাহাড় বলে কথা, তাই সমতলে প্রবল গরম থাকলেও ব্যাহ ভর্তি করে সোয়েটার, চাদর, মাফলার নিয়েও গিয়েছিলেন পর্যটকরা৷ কিন্তু পাহাড়ে এসেও তাঁদের অনেকের মাথায় হাত৷ ঠান্ডা দূরে থাক, বেলা বাড়তেই সেখানেও রীতিমতো রোদের তাপে বাইরে বেরনো দায়৷ চড়াই উতরোই ঠেলে উঠতে নামতে রীতিমতো ঘাম ঝরছে৷ গরম থেকে বাঁচতে পাহাড়ের বাসিন্দাদেরই এখন ভরসা টেবিল ফ্যান আর আইসক্রিম!
আরও পড়ুন: আকাশের মুখ ভার, ভ্যাপসা গরম! বৃষ্টি হবে? পয়লা বৈশাখে যা বলল হাওয়া অফিস...
দার্জিলিংয়ের ভিড় কোলাহল যাঁরা পছন্দ করেন না, তাঁদের অনেকেই বেছে নেন কালিম্পংকে৷ অথবা দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি দিন দুয়েক বা একটা রাত কালিম্পংয়েও কাটিয়ে যান অনেকে৷ কালিম্পংয়ের ডেলোর মতো পর্যটন কেন্দ্রও পাহাড়ে যথেষ্ট জনপ্রিয়৷ সমতলে গরম বাড়তে এবার তাই কালিম্পংয়ের হোটেল, হোম স্টে- গুলিতেও পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে৷ আবহাওয়া দফতরেরও পূর্বাভাস ছিল, আগামী কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গে গরমের দাপট বাড়লেও তা সীমাবদ্ধ থাকবে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো সমতলের জেলাগুলিতেই৷
কিন্তু কালিম্পংয়ে এসে সেই ভুল ভাঙল অনেকেরই৷ কারণ গত কয়েক দিন বেলা বাড়তেই কালিম্পংয়েও সূর্যের তেজ বাড়ছে৷ রাত বা সকালেও তাপমাত্রা যে খুব নামছে এমন নয়৷ এ দিনও সকালে কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ বেলা বাড়তে তা ৩১-৩২ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছয়৷ ফলে সোয়েটার, মাফলার ব্যাগ থেকে বের করার প্রয়োজন হয়নি৷ বরং পাহাড়ে এসেও আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয়ের খোঁজ করতে হয়েছে অনেককে৷ একই অবস্থা স্থানীয় বাসিন্দাদেরও৷ গরমে অতীষ্ঠ হয়ে তাঁরাও ভরসা রাখছেন টেবিল ফ্যানে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Darjeeling, Kalimpong, Weather Update