#দার্জিলিং: হাসছে পাহাড়! ফের বরফে ঢাকা সাদা কাঞ্চনজঙ্ঘা হাতের মুঠোয়। এক্কেবারে ঝা চকচকে! ভোর হতেই উঁকি ঝুঁকি আপন রূপে! এর জন্যেই তো অপেক্ষার প্রহর গুনছিল পাহাড়বাসী! গত কয়েক মাস শৈলশহর ঢাকা পড়েছিল কখোনো কুয়াশার চাদরে, কখনো বা মেঘের ভেলায়। কুয়াশা আর মেঘের লুকোচুরি খেলা চলছিল। শনিবার সেই কুয়াশার চাদর সরিয়ে মাথা তুলেছে প্রকৃতি তার অপরূপতাকে নিয়ে। সাত সকালে পাহাড়ের ঘুম ভাঙল কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য্যে।
কোভিড অতিমারির জন্যে পর্যটক শূন্য পাহাড়ে ফের ভিড় জমাতে শুরু করেছে ভিন রাজ্যের পর্যটকেরা। সংখ্যায় কম হলেও ধীরে ধীরে চড়াই উতরাই আঁকাবাঁকা পথ ধরে পাহাড়ে চড়ছে পর্যটকেরা। সেই মার্চ থেকে বন্ধ পর্যটন। ধাপে ধাপে সব পরিষেবাই স্বাভাবিক হচ্ছে। আনলক ফোরে খুলছে বনাঞ্চলও। খুলেছে পাহাড়ের হোটেলের দরজাও। নিউ নর্মালে করোনা আতঙ্ক দূরে সরিয়ে একে একে পর্যটকেরা আড্ডা জমাচ্ছেন ম্যালের ধারে। পর্যটন ব্যবসায়ীরাও আহ্বান জানাচ্ছেন।
পাহাড়জুড়ে সচেতনতার প্রচারও চালাচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পুজোর আগে তেমন বুকিং না এলেও ওপার থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন পর্যটকেরা। কেমন আবহাওয়া? কোভিডেরই বা কি অবস্থা? কি ধরনের প্রোটোকল মানা হচ্ছে? মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা শৈলশহরকে উপভোগ করতে আজ সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়েছেন অনেক পর্যটকই। কেউ এসছেন কলকাতা থেকে। কেউ আবার দিল্লি থেকে।
টানা লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষদের মধ্যে একঘেয়েমি চলে এসছিল। মন আর কিছুতেই মানতে চাইছিল না। আর তাই বেড়িয়ে পড়া। অনেকদিন না দেখা পাহাড়কে দেখতে। বলছেন পর্যটকেরা। আর এমন আবহাওয়া থাকলে আরো কিছুদিন থেকে যাবেন পাহাড়ে। এমনটাই ইচ্ছে অনেকের। গত কয়েক দিনে বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে হোটেলেই বন্দী থাকতে হয়েছিল। আর আজ রোদ ঝলমলে পাহাড়ে চেনা সবুজের হাতছানি! খুশী পর্যটকেরা। কোভিড প্রোটোকল মেনেই বেড়িয়ে পড়া। কেননা করোনাকে সঙ্গী করেই চলতে হবে যে! খুশী পর্যটনের সঙ্গে জড়িতরাও। তাদের মুখেও হারিয়ে যাওয়া হাসি যে ফিরছে!