#দার্জিলিং: আশার আলো দেখছে উত্তরবঙ্গ! ঘুরে দাঁড়ানোর পথে উত্তরের পর্যটন৷ সব ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পর্যটকদের জন্যে খুলে যেতে পারে পাহাড়! আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। রাজ্য এবং জিটিএ সবুজ সংকেত দিলেই পর্যটন প্রেমীদের খুলে যাবে পাহাড়ের দুয়ার। আজ দার্জিলিংয়ের জিমখানা ক্লাবে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী, হোটেল মালিকদের সংগঠন, গাড়ির মালিক এবং চালকদের সংগঠনের সদস্যদের মিলিত বৈঠকে ফের পাহাড়ে পর্যটন শুরু করার বিষয়ে খোলার সিদ্ধান্তে ঐক্যমতে পৌঁছেছে সবপক্ষই। তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে রাজ্য এবং জিটিএ'র কর্তাদের কাছে।
সূত্রের খবর, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্যে খুলে যেতে পারে পাহাড়। সবটাই নির্ভর করছে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের উপর। করোনার জেরে লকডাউনের আগে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন শিল্প। করোনা অতিমারির জেরে গোটা বিশ্বেই বড় ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্প। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের। অনেকেই আবার পেশা বদল করে ফেলেছেন।
সামনেই পুজোর মরসুম। করোনা আতঙ্ক না কাটলেও ধীরে ধীরে পর্যটকদের বুকিংয়ের ফোন আসতে শুরু করেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে। করোনার কি পরিস্থিতি? হোটেল বুকিং নেওয়া হচ্ছে কি? বা কবে থেকে নেওয়া হবে? ঘোরার ক্ষেত্রে কতটা ঝুঁকি রয়েছে? ইত্যাদি প্রশ্ন করছেন পাহাড়ে আসতে আগ্রহীরা। আর তাই পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতরা আজ দার্জিলিংয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে হিমালয়ান হসপিটালিটি এণ্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কো-অর্ডিনেটর তন্ময় গোস্বামী জানান, ধীরে ধীরে পর্যটন ব্যবসা স্বাভাবিক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেননা উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি পর্যটনের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তবে সেক্ষেত্রে কোভিড প্রোটোকল মেনেই যাবতীয় বুকিং নেওয়া হবে এবং পর্যটনকেন্দ্র ঘোরানো হবে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন এখন আর আন্তঃ রাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন নেই। শুধু জিটিএ এলাকার হোটেলই নয়, এখানকার যাবতীয় হোম স্টে'র দরজাও খুলতে চলেছে সেপ্টেম্বরে। পুজোর আগে পর্যটনের পক্ষে অনুকূল একটা আবহ তৈরির দিকেই জোর দিচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে সবটাই নির্ভর করছে সরকারি সিদ্ধান্তের উপরে৷
Partha Pratim Sarkar