Partha Sarkar
#দার্জিলিং: দার্জিলিংয়ের সমতলে ঘাসফুল ফোটানই এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভের পাহাড়৷ যা নিয়ে দলের আদি তৃণমূলীদের একটা বড় অংশ ক্ষোভে ফুঁটছে। ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন দুই প্রবীন মুখ দীপক শীল এবং জ্যোৎস্না আগরওয়াল। নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন আর এক সিনিয়র নেতা নান্টু পাল। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা আসনেও প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে যথেষ্টই ক্ষোভ রয়েছে। শিলিগুড়িতে তো আছেই। নকশালবাড়ির প্রার্থী সদ্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের অন্দরেই।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সমতলের তিনটে আসন জেতা কঠিন লড়াই তৃণমূলের কাছে। একদিকে গেরুয়া ঝড়, অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট। দুই প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলে জয়ী হওয়া যে সহজ নয়, তা বুঝেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। তবু হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। আজ নকশালবাড়িতে দলের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে এক হয়ে লড়ার ডাক দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। যদিও এই সভায় দলেরই যুব সংগঠনের সদস্যদের উৎসাহ ছিল অনেকই কম। সভাস্থলের বাইরেই বেশীরভাগ সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই তাঁদের মূল ক্ষোভ। যদিও দলের জেলা সভাপতির কথায়, অনেকক্ষন ধরেই বসেছিল ওঁরা। চা খেতে হয়তো বেড়িয়েছিল। তিনি সাফ জানান, এ বার শিলিগুড়িতে ঘাসফুল ফুটবেই। এ জন্য তিনি শিলিগুড়ির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ক্যাম্প করে থাকবেন নিজেই।
মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়ায় ঘাঁটি গেড়ে থাকবেন সপ্তাহে চারদিন। প্রার্থীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাবেন। গত ১০ বছরের সরকারের সাফল্য তুলে ধরেই ভোট চাইবেন। যদিও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের কথায়, বহিরাগত প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কার্যত বাম-কংগ্রেস জোটকে সুবিধে করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত সমতলের তিনটে আসনই জোটের দখলে। গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের দিকে তাকালে অবশ্য দেখা যাচ্ছে তিনটে আসনেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির। এখনও তাঁরা তিন আসনে প্রার্থীর বাম ঘোষণা করেনি। অন্যদিকে শিলিগুড়ির সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, "ছোটোবেলায় ফুটবল খেলতাম। ওয়াকভার পেলে মন খারাপ হত। খেলেই জিততে চাই। আমরা আত্মসন্তুষ্ট নয়, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়ছি। কে প্রতিপক্ষ, তা নিয়ে ভাবছি না।"