#শিলিগুড়ি: তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত প্রসেনজিৎ রায়। জল্পনা আগেই দানা বাঁধছিল, আইএনটিটিইউ সি'র দাপুটে নেতাকে দল থেকে শেষমেশ বহিষ্কারই করল তৃণমূল। বলা হচ্ছে, ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত শাসক দলের।
এনজেপির কাছে স্থলবন্দরে বেপরোয়া হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ রায়, যা নিয়ে দলের অন্দর এবং বাইরে যথেষ্টই চাপে ছিল তৃণমূল। গত ৪ ফেব্রুয়ারির সকালে আচমকা লরিবোঝাই শ্রমিক অতর্কিতে হামলা চালায় স্থলবন্দরে। গেট ভেঙে ঢুকে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ওই দিন আবার শিলিগুড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনিও বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সেই সময় দলবল নিয়ে স্থলবন্দরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ ঘনিষ্ঠ ১৩ জন শ্রমিক নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানার পুলিশ। গ্রেফতারের মধ্য দিয়েই ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ছিল যে কোপ পড়তে পারে প্রসেনজিতের ওপর। সেই আশঙ্কাই আজ সামনে নিয়ে এলো দল।
আজ জেলা দপ্তরে দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার ঘোষণা করেন, হিংসাত্মক কার্যকলাপ ভাবেই পছন্দ করে না দল। আজ থেকে ওর সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পর্ক রইল না। দল থেকে বহিষ্কার করা হল প্রসেনজিৎ রায়কে। পাশেই ছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরূপরতন ঘোষ।
আপাতত ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিই এনজেপি এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের কাজ দেখভাল করবে। প্রসঙ্গত এনজেপি এলাকায় প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধীক অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে যথেষ্টই চাপে ছিল দল। এবারে দলবল নিয়ে স্থল বন্দরে বেপরোয়া ভাঙচুর, হামলার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ সরাসরি প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে প্রসেনজিৎ সহ তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে। তবে এখোনো তার হদিস পায়নি পুলিশ। প্রসেনজিতের বহিষ্কার নিয়ে তার অনুগামীরা এবারে কোন পথে হাঁটে, সেদিকে নজর থাকবে তৃণমূলের। অন্যদিকে সতর্ক পুলিশও।