#শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির দিনেই বড় ধাক্কা তৃণমূল শিবিরে! একটি নয়, দু'দুটি ধাক্কা! সমতলে বর্ষীয়ান নেতা নান্টু পাল ও পাহাড়ে রাজেন মুখিয়া৷ দলীয় প্রার্থী পদ না পাওয়ায় দল ছাড়লেন সস্ত্রীক নান্টু পাল। দু'জনেই শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূলের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর। নান্টু পালের নামই ছিল সম্ভাব্য তালিকায় এক নম্বরে। তবু তাঁকে প্রার্থী না করায় প্রথম দিনই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।
রবিবার নান্টু পালকে তলব করেন জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন? জবাবে তিনি স্পষ্ট বলেন, ঘরের ছেলেকে প্রার্থী না করে কেন বহিরাগত প্রার্থী করা হল? তিনি বহু পুরনো কাউন্সিলর, পুরসভার ডেপুটি মেয়র ছিলেন। একাধীক সরকারি পদে রয়েছেন। তাঁর নাম নিয়ে পিকে'র টিম আলোচনা করেছে। তবু কেন তাঁকে প্রার্থী করা হল না? জানতে চেয়ে সদুত্তর পাননি বলেই সূত্রের খবর। তারপরই তিনি ঘোষণা করেন, শিলিগুড়িতে নির্দল প্রার্থী হয়েই লড়বেন।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে দল এবং সরকারী যাবতীয় পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তবে সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এদিন রাত পর্যন্ত বিজেপিতে যোগের খবর পাওয়া যায়নি। নান্টু পাল বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ই তাঁর কাছে প্রেরণা। উনি রেলমন্ত্রী ছেড়েছেন বলেই আজ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। দলে কাজ করে খুশী হতে পারছেন না। সরকারী পদে থাকলেও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। স্পোর্টস বোর্ডের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত নির্দল হয়েই লড়বেন। এবং তা জেলা পর্যবেক্ষককেও জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এদিনই দল ছাড়লেন তৃণমূলের পার্বত্য শাখার প্রাক্তন সভাপতি রাজেন মুখিয়াও। মূলত মোর্চার সঙ্গে জোট গড়ে তিনটি আসনই তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দল ছাড়লেন বলে তিনি জানান। কারণ, ২০১১ তে যোগ দিয়ে পাহাড়ে দলের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। আজ দলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী দাঁড়াচ্ছে না। ওতে নিচুতলার কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। আগামীদিনে অন্য দলে যোগ দেবেন বলেও ঘোষণা করেছেন। আজই পদত্যাগপত্র পার্বত্য শাখার সভাপতির মাধ্যমে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজেন মুখিয়া।
(পার্থ প্রতীম সরকার)