#শিলিগুড়ি: দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আসছিল হুমকি ফোন। হুমকি ফোন আসত শিলিগুড়ি গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কাছে। এক স্কুল ছুট ছাত্রীকে ভর্তি করাতে হবে। এই দাবীতেই ঘন ঘন আসত হুমকি ফোন। গতকালই প্রধান শিক্ষিকাকে ফোনে বলা হয় এক প্রতিনিধি যাবে স্কুলে। সেইমতো আজ সটাং স্কুলেই হাজির এক যুবক। তার নাম রাধারমন রায়। স্কুলে এসে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়। এমনকী প্রেস কার্ডও দেখায়। আজ ফের হুমকি দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষিকাকে বলে অভিযোগ। ভর্তি নিতে হবে ওই স্কুল ছুট পড়ুয়াকে। প্রধান শিক্ষিকা খবর দেন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে।
মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সাদা পোশাকের পুলিশ হাজির হয় স্কুলে। স্কুলেই যুবককে ঘিরে চলে টানা জেরা। অসংলগ্ন কথাবার্তা হওয়ায় আটক করা হয় যুবককে। শিলিগুড়ির দেশবন্ধু পাড়ায় থাকে ওই যুবক। যুবকটি জেরায় জানায়, সে কিছুই করে না। ২১০০ টাকার বিনিময়ে প্রেস কার্ড জোগাড় করেছে। কেন? সাংবাদিকদের ছোঁড়া প্রশ্নে তার জবাব সমাজ সেবার জন্যে। সব কিছুই যেন কেমন এলোমেলো। কোথা থেকে এল এই প্রেস কার্ড? উঠছে প্রশ্ন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যুবককে এখনও জেরা চালাচ্ছে পুলিশ। কে বা কারা তাকে স্কুলে পাঠিয়েছে, তার উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কবে থেকে স্কুল ছুট ওই ছাত্রী ? ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মুনমুন লাহিড়ী জানান, ২০১৭ থেকে। এমনকী ডি আই অফিস থেকে ভর্তির জন্যে শুরুতে চাপ আসে। পরবর্তীতে হুমকি ফোনের কথা প্রধান শিক্ষিকার মুখ থেকে জানতে পেরে পিছিয়ে আসেন ডি আইও। স্কুলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। প্রেস কার্ড যে ভুঁয়ো, সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ।
PARTHA PRATIM SARKAR
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Press card, School, Siliguri