#মালদহ: দুঃখ-কষ্ট নিত্যসঙ্গী। অভাব, অনটন আর অর্ধাহারে চলছিল দিনযাপন। নিজস্ব বাড়ি না থাকায় রাস্তার ধারের সরকারি জমিতে সপরিবারে মাথাগুঁজে ছিলেন পেশায় গাড়ি চালক মোহম্মদ রমজান আলি। লটারির টিকিট কেটে নিমেষে কোটিপতি হলেন হতদরিদ্র রমজান। সন্ধ্যে থেকে তাঁর চালাঘরে তিল ধারণের জায়গা নেই। নিরাপত্তা দিতে হাজির মানিকচক থানার পুলিশ। কথায় আছে ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা। মালদহের মানিকচকের নুরপুরের রমজান আলি কার্যত ছেঁড়া কাঁথাতেই ঘুমতেন। মাঝেমধ্যে যখন শখ করে লটারি টিকিট কাটেন, তখন স্বপ্ন দেখতেন বৈকি! কিন্তু, এভাবে বাস্তবে স্বপ্ন সফল হবে। আচমকা কোটিপতি হয়ে যাবেন,কখনো ভাবতেও পারেননি রমজান।
ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল বৃহস্পতিবার বিকেলে। বাড়ি ফেরার পথে মানিকচকের নুরপুর স্ট্যান্ডে সবমিলিয়ে ১২০ টাকার লটারি টিকিট কাটেন। এরপর অন্যান্য দিনের মতোই বাড়িতে ফিরে আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে রমজানের কাটা টিকিট লটারিতে কোটি টাকা জিতে নিয়েছে। প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস হয়নি রমজান ও তাঁর পরিবারের। টিকিট বিক্রেতা এবং স্থানীয়দের চাপাচাপিতে টিকিট মিলিয়ে দেখেন তাঁরা। এরপর যা ঘটলো সবটাই যেন কল্পনা। মুহুর্তের মধ্যে গ্রামের নতুন "কোটিপতি" -কে দেখতে মানিকচকের নুরপুর পঞ্চায়েতের কলোনি এলাকায় রাস্তার ধারের চালা ঘরে উপচে পড়ল স্থানীয়দের ভিড়। পৌঁছলো সংবাদ মাধ্যম। নিরাপত্তা দিতে বাড়ির সামনে গাড়ি নিয়ে হাজির পুলিশ।
চার ছেলে সহ সাত জনের সংসার। গাড়ি চালিয়ে কোনওরকমে দিন গুজরান হয়। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় নিজের ঘরবাড়ি তৈরি করতে পারেননি। এবার অবশ্য দিনবদলের আশা দেখছেন রমজান। জানিয়েছেন, প্রথমে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করবেন। এদিকে রমজানের মতো হতদরিদ্রের লটারি লাভে খুশি গোটা গ্রাম। যেভাবে অভাব-অনটনে দিন কাটতো তাতে তাঁর লটারি প্রাপ্তিতে খুশি স্থানীয়রা।
সেবক দেবশর্মা