#মালদহ: রিজেন্ট পার্ক থানার পূর্ব পুটিয়ারি এলাকায় হাইড্রেন পরিষ্কারের কাজ করার সময় বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের চার শ্রমিকের। ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতদের মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের তিন ভাই। পাশাপাশি প্রতিবেশী এক যুবকেরও মৃত্যু হয়েছে। একই গ্রামের আরও দুই যুবক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে দাবি স্থানীয়দের। মৃত আলমগীর হোসেন (২৮) , জাহাঙ্গীর আলম(২৬) , সাবির আলি (২২) নিজেরা তিন ভাই। প্রত্যেকেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব তালসুর এলাকার বাসিন্দা। মৃত অপরজন লিয়াকত আলি (২২) প্রতিবেশী।
বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ হরিশচন্দ্রপুরের গ্রামে স্থানীয় যুবকদের চারজনের মৃত্যুর খবর আসে। এরপরেরই শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে মৃতদের দুই পরিবার। গত তিনমাস ধরে কলকাতায় বিভিন্ন নর্দমায় সাফাইয়ের কাজ করছিলেন এঁরা। এর আগে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কেরল সহ বিভিন্ন রাজ্যে নর্দমা সাফাইয়ের কাজ করেন তাঁরা। লকডাউনের সময় করোনা আতঙ্কে প্রত্যেকেই বাড়ি ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ফের তাঁরা কলকাতায় গিয়ে একই ধরনের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বপুটিয়ারি এলাকায় নর্দমায় সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে আচমকা বিপত্তি ঘটে। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বিষাক্ত গ্যাসে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর এক এক করে মৃত্যু হয়।
এমনকি, গ্রামের আরো দুই যুবক এখন অসুস্থ হয়ে কলকাতার বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।নর্দমা সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে যাঁদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এঁদের প্রত্যেকেই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। কয়েকজনের বাড়িতে নাবালক ছেলে মেয়ে রয়েছে। মৃত লিয়াকতের স্ত্রী এই মুহূর্তে অন্তঃসত্তা। ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার-পরিজন এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে ৷
লকডাউনের সময় ছেলেরা বাড়ি ফিরে এলেও নিয়মিত কাজ না পাওয়ায় চরম অভাবের মুখে পড়তে হয়। তাই পেটের তাগিদে প্রত্যেকেই ঝুঁকির কাজে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃতদের পরিবারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাশে দাঁড়াক রাজ্য সরকার।
Sebak DebSarma