Partha Sarkar
#দার্জিলিং: কাল থেকে শৈলশহরে খুলছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। লকডাউনের জেরে বন্ধ ছিল মন্দির, মসজিদ, গির্জার দরজা। বন্ধ বিভিন্ন বৌদ্ধ গুম্ফাও। রাজ্যের নয়া নির্দেশিকায় আজ বহু জেলাতেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলেছে। আবার শিলিগুড়ির ইস্কন মন্দির, বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর মন্দির আপাতত বন্ধই থাকছে। আগামী ১৫ জুন খুলতে পারে এই মন্দিরগুলো। তবে পাহাড়ে খুলছে মন্দির এবং মসজিদ।
কাল থেকে খুলছে দার্জিলিংয়ের মহাকাল ডারা মন্দির। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে পূণ্যার্থীদের। মাস্ক বা ফেস কভার পড়া যেমন বাধ্যতামূলক। তেমনি মন্দিরে প্রবেশের সময়ে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যিক। মানতে হবে পারস্পরিক দূরত্ব। মন্দিরে গণ্ডি কাটা হবে। একসঙ্গে চার জনের বেশী ভক্তের প্রবেশ নয়। চার জনের পুজো শেষ হলেই অন্য চার পূণ্যার্থী মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। সতর্কতা না মানলে মন্দিরে পুজো দেওয়া যাবে না। জানিয়েছেন মন্দির কমিটির কর্তারা। আজ মন্দির চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। স্থানীয় পুরসভার কর্মীরা স্যানিটাজেশনের কাজ চালান।
পাশাপাশি খুলছে মসজিদের দরজাও। তবে প্রতিদিন নয়। সপ্তাহে একদিনই খুলবে মসজিদের দরজা। শুধু শুক্রবারেই খোলা থাকবে দার্জিলিংয়ের জামা মসজিদ। তবে ১০ জনের বেশী একসঙ্গে নমাজ পাঠে অংশ নিতে পারবেন না। লকডাউনের জেরে এবারে মসজিদে ইদের নমাজও পাঠ করা হয়নি। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা নিজেদের বাড়িতেই ইদ পালন করেন। গোটা রমজান মাস বাড়িতেই কাটান তাঁরা। মসজিদেও যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। সেই নির্দেশিকা টাঙানো হয়েছে মসজিদের দরজায়। মসজিদ কমিটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি নির্দেশিকা মানতেই হবে।
শৈলশহরে মহাকাল ডারা মন্দিরে শুধু স্থানীয় পূণ্যার্থীরাও নয়, পর্যটকেরাও ভিড় জমান। তবে আপাতত পর্যটকশূন্য শৈলরাণী। তাই স্থানীয় ভক্তরাই প্রতিদিন আসবেন পুজো দিতে। মন্দির খোলা হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তবে বৌদ্ধ গুম্ফা কবে খুলবে তা এখোনও স্থির হয়নি। মন্দির, মসজিদ খুলছে। ধাপে ধাপে গুম্ফাও খুলবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Darjeeling, Temple