#শিলিগুড়ি: গ্রাম বাংলার দিকে তাকালেই নজরে আসবে তাল গাছের সারি। শ্রাবন মাসের শেষের দিকে আর ভাদ্রে তাল পাকতে শুরু করে। প্রবাদই আছে ভাদ্রের গরম মানেই তাল পাকা গরম! সেই তালের থেকে কি না কি তৈরী করা যায়! তালের বড়া বাঙালির রসনায় এক লোভনীয় খাবার। সেইসঙ্গে তালের ক্ষীর হলে তো আর কথাই নেই বাংলা ও বাঙালির। তৈরী হয় আরো নানান রসালু স্বাদের পদ। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম এই তাল গাছ থেকে অনেকটাই দূরে। বাংলার ঐতিহ্যে জড়িয়ে আছে এই তাল! আর তাই প্রতিবারেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজন করা হয় তাল উৎসবের।
শিলিগুড়ির ইচ্ছেবাড়িতেও গত তিন বছর ধরে আয়োজন হয়ে আসছে এই উৎসবের। প্রথম দু'বছর বেশ ঘটা করেই হয়েছিল তাল উৎসব। নানান রকমারি তালের বড়া, তালের মালপোয়া, তাল খির সহ আরো কত কি! ভিড় জমাতো ভোজন রসিক বাঙালি। দেদার কেনাকাটাও হত। কিন্তু এবারে করোনা এবং লকডাউনের জেরে সুর কেটে যায় এই উৎসবেরও! উদ্যোক্তারা প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো উৎসব করা যাবে না। আবার ভাবতে শুরু করে যদি উৎসব না করা যায়, তাহলে করোনা আতঙ্কেই ডুবে থাকবে বাঙালি। আর তাই করোনা আবহেই অন্যভাবে ইচ্ছেবাড়ি আয়োজন করে এই তাল উৎসবের। যেখানে আগে থেকে অর্ডার নিয়ে নেওয়া হয়। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে চলে আসে অর্ডার। তারপর সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা প্যাকেজিং হয়ে চলে যায় খাদ্যপ্রিয় বাঙালির হাতে! সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং যেমন মানা হল, তেমনি উৎসবেরও আয়োজন করা গেল। প্রতিবছর জন্মাষ্ঠমীর পরই এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় তাল না পাকায় দিনক্ষন পিছিয়ে আনা হয়। তবে অনলাইনে উৎসবের আয়োজনেও চাহিদা কমেনি। যা ভেবেছিলেন, তার চাইতেও বেশি অর্ডার আসতে শুরু করেছে। বলেন উদ্যোক্তা অভয়া বসু।
আর এক তরুণী ঐন্দ্রীলা সাহা জানান, কোভিড ১৯-এর জন্যে তাল উৎসব হবে না, ভাবতে গিয়েই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। শেষে ইচ্ছেবাড়ি এর আয়োজন করবে জানতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। অতিমারি করোনাও উৎসবকে ফিকে করতে পারেনি। শুধু মিস করেছি বন্ধু, বান্ধব সব্বাই মিলে চুটিয়ে আড্ডার ফাঁকে মুখে তালের বড়া বা ক্ষীর গলিয়ে নেওয়াটাকে! দু'দিন ধরে চলবে এই উৎসব।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North Bengal