#দার্জিলিং: পেশায় দর্জি। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিষেবায় ছাড় দিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র। গ্রিন জোন, অরেঞ্জ জোন এবং রেড জোনে কিছু কিছু দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। গ্রিন জোনে চালু হয়েছে সরকারি বাস পরিষেবাও। তবে এখনও দর্জির দোকান খোলার ছাড়পত্র মেলেনি। তার মধ্যে দার্জিলিং জেলা রেড জোনের আওতাভুক্ত।
লকডাউনের ৪১ দিন পার। অর্থাৎ প্রায় দেড় মাস হতে চলেছে। ঘর বন্দি জনতা। পেশায় দর্জি শিলিগুড়ির বাসিন্দা শিবকান্ত মণ্ডল। প্রথম কয়েকটা দিন সঞ্চয়ের টাকায় চালিয়ে ছিলেন সংসার। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ ক্রমেই বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তা তাড়া করে বেড়ায় শিবকান্তবাবুকে। দুই ছেলে, দুই মেয়ে এবং স্ত্রী নিয়ে ৬ জনের সংসার। কিভাবে টানবেন সংসার? তখনই ভেবে বসেন কিছু একটা করে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সেলাইয়ের কাজে দক্ষ শিবকান্তবাবু বসে পড়েন মাস্ক, ক্যাপ তৈরির কাজে। নতুন কাপড় কিনে চলে ক্যাপ, মাস্ক তৈরি। সেই মাস্ক বিক্রি করেই এখন চলছে তাঁর সংসার।
বিভিন্ন দামের মাস্ক তৈরি করছেন। তাঁর তৈরি রকমারি রঙের মাস্কের কোনোটির দাম ২০ টাকা তো কোনোটির আবার ৪০ টাকা। প্রতিদিন নিজের হাতেই কাপড় কেটে সেলাই করে মাস্ক তৈরি করে চলেছেন। নিজের দোকানের সামনেই সেলাই মেশিন বসিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁর দৈনিক উপার্জন কোনোদিন ৫০০ টাকা। আবার কোনোদিন গিয়ে দাঁড়ায় ১০০ টাকায়! এছাড়া যে বিকল্প পথ খোলা নেই।
পেশা না বদলালেও কাজের ধরন পাল্টেছে। জামা-কাপড় তৈরির বদলে এখন মাস্ক তৈরিতে ব্যস্ত। ইতিমধ্যেই কয়েকশো মাস্ক তৈরি করে ফেলেছেন। তিনি জানান, স্বাচ্ছন্দ্যে না হলেও টেনেটুনে চলছে সংসার। পরিবারের লোকেদের মুখে দু'বেলা খাবার তো জুটছে। আর কতদিন এভাবে চালাতে হবে, জানা নেই শিবকান্তবাবুর মতো অনেকেরই। তবু করোনা মোকাবিলায় সতর্কতা অবলম্বন করেই চলতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনেই চালাচ্ছেন কাজ।
PARTHA PRATIM SARKAR
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Mask, Tailor