#শিলিগুড়ি: সাড়ে তিন বছর পরে তিনি ফিরছেন নিজের জেলায়। ভেবেছিলেন রাজকীয় এন্ট্রি হবে শিলিগুড়ির গান্ধী ময়দানের সভা থেকে। সপার্ষদ প্রায় ১৬৩ জনকে সাথে নিয়ে তিনি শনিবার রাতেই উঠে পড়েন ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল দার্জিলিং মেলে৷ যদিও রবিবার সকালেই বিপত্তি। ডালখোলায় ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির রেল রোকোর জেরে আটকে পড়ে সব ট্রেন। আজমনগর স্টেশনে আটকে পড়েন বিমল গুরুং। সকাল থেকে শুরু হওয়া অবরোধ সাড়ে ন'টা নাগাদ উঠে যায়। কিন্তু বিধি বাম, আবার অবরোধ শুরু হয়ে যায়। ফলে গুরুংয়ের সভা করতে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়ে যায় চরম অনিশ্চয়তা। এরই মধ্যে, বেলা এগারোটা নাগাদ আজমনগর স্টেশনে আসে পুলিশ। বিমল গুরুংকে এসকর্ট করে নিয়ে চলে যায় আজমনগর স্টেশন থেকে। যার জেরেই উঠছে প্রশ্ন।
যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ, দেশদ্রোহিতার মামলা রয়েছে, তাঁকে পুলিশ যে ভাবে অবরোধে আটকে থাকা ট্রেন থেকে এসকর্ট করে নামিয়ে নিয়ে বিশেষ সুবিধা দিয়ে নিয়ে গেল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
সকাল থেকেই অবশ্য ট্রেনে খোশমেজাজে ছিলেন পাহাড়ের বেতাজ বাদশা। জলপাই রঙের পোশাক পড়ে এ২ কোচে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করেন। আচার খেতে দেখা যায়। ঘন ঘন জল খেতেও দেখা যায় তাকে। সাথে থাকা ঘনিষ্ঠরা বারবার ফোনে যোগাযোগ করেন রোশন গিরির সঙ্গে। যোগাযোগ করেন সভার আয়োজকদের সঙ্গে। অনেককে আবার দেখা যায় প্রশাসনের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যেতে। কিন্তু দীর্ঘ ৫ ঘন্টার চেষ্টাতেও সেই কাজ হয়ে উঠতে পারেনি। তাই শেষমেষ পুলিশি সহায়তায় আজমনগর ছেড়ে শিলিগুড়ি রওনা দেন বিমল গুরুং।
তবে বিমলের যাত্রা যে সহজ হবে না সেটা ভালোই বুঝেছিলেন গুরুং শিবিরের নেতারা। বিশেষ করে তিনি ট্রেনে চেপে যাচ্ছেন। সে কারণেই দফায় দফায় ট্রেন অবরোধ করে রাখা হচ্ছে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির এই রেল-রাস্তা অবরোধ ঘিরে নানা প্রশ্ন ওঠে। তবে এদিনের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্ক খুঁজছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল শিবির। মুখে ক্ষোভ থাকলেও, প্রকাশ্যে এই বিষয় নিয়ে একটাও মুখ খোলেননি তিনি। তবে সাড়ে তিন বছর পরে তার প্রথম সভার দিনে তাকে এভাবে হেনস্থা হতে দেখে সরব হয়েছেন তার অনুগামীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bimal gurung, Bimal Gurung Rally