#শিলিগুড়ি: সিপিএম ছাড়লেন শঙ্কর ঘোষ। শিলিগুড়ির যুবনেতা শঙ্কর ঘোষ শহরের পরিচিত রাজনৈতিক মুখ। দলের সঙ্গে প্রায় তিন দশকের সম্পর্ক আজ ভাঙলেন শঙ্কর। গতকালই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের কাছে। এক পাতার চিঠিতে দল পরিচালনা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর ক্ষোভ, জেলা সিপিএম চলছে এক-দু'জন নেতার সিদ্ধান্তে। কোনও বিষয় নিয়ে প্রসঙ্গ তুললেই একঘরে করে দেওয়া হত। গত সাড়ে তিন বছর ধরে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। অবশেষে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর কথায়, 'দলে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। এ ছাড়া আর উপায় ছিল না।'
যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদকের পাল্টা দাবি, ও দলীয় সভায় সবচেয়ে বেশী কথা বলত। সবচেয়ে জোরে কথা বলত। ওকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে এই ধরনের মন্তব্য শঙ্কর ঘোষের। বিধায়ক হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা।
১৯৯১ সালে কলেজে এসএফআইয়ের (SFI) হাত ধরে রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ। সেই বাম রাজনীতিতে তাঁর আত্মপ্রকাশ। এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) জেলা সম্পাদকও ছিলেন। জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ছাত্র ও যুব সংগঠনের রাজ্য কমিটিতেও ছিলেন। অল্প বয়সেই তাঁকে অনেক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
প্রথমবারে কাউন্সিলর নির্বাচন হয়েও তাঁকে মেয়র পারিষদ সদস্য করা হয়েছিল। যা আগে কখনও কাউকে করা হয়নি। ও যা লিখেছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সারবত্তা নেই। নির্বাচনের আগে দলকে ব্ল্যাক মেইল করার জন্যে শঙ্কর ঘোষকে পার্টির সদস্য পদ থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হল। দল বিরোধী, নীতি বিরোধী সিদ্ধান্ত। দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠক শেষে একথা ঘোষণা জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। অন্যদিকে, 'সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, এতে কোনও প্রভাব দলে পড়বে না। ও যদি আমার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ায়, গতবারের তুলনায় দ্বিগুন ভোটে জয়ী হব'...মন্তব্য অশোক ভট্টাচার্যের। তাহলে কি শঙ্কর এবারে পদ্ম শিবিরে? সূত্রের খবর, কথা হয়েছে। যোগদান সময়ের অপেক্ষা মাত্র। যদিও মুখ খোলেননি শঙ্কর ঘোষ।
Partha Sarkar