মৃত পশুদের সৎকারের জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লি! অবাক হচ্ছেন? এমনই পরিকল্পনা শিলিগুড়ি পুরসভার। নীল নকশাও তৈরির পথে পুরসভা।
কেন? পথ কুকুর হোক বা পোষ্য বেড়াল, গরু থেকে মোষ, মারা গেলে সৎকারের কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। কখনও শহরের অদূরে জটিয়াকালির ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে ছুড়ে ফেলা হয় মৃত পশুদের দেহ। কখনও বা কোনও জঙ্গলে। আবার কখনও নদীতে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়। দূষিত হচ্ছে নদীও। দূর্গন্ধও ছড়ায়। নানা রোগেরও উৎপত্তি হয়। মৃত পশুর দেহ থেকেই তো রোগ ছড়ায়।
তাই এবারে পরিকল্পনামাফিক এগোতে চায় শিলিগুড়ি পুরসভা। মৃত পশুদের জন্যে পৃথক শ্মশান তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে পুরসভা। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথিরিটির এক প্রতিনিধি দল এই প্রস্তাব দিয়েছে। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, ওই প্রস্তাব পছন্দ হয়েছে। দ্রুত মৃত পশুদের জন্যে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হবে। এতে দূষণের মাত্রাও কমবে। যত্রতত্র মৃত পশুদের দেহ ফেলা বন্ধ হবে।
কোথায় হবে এই শ্মশান? মেয়র জানান, জমি খোঁজার কাজ চলছে। জমি চিহ্নিত হলেই কাজ শুরু করা হবে। পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। অনেক সময় দেখা যায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত পশুর দেহ পড়ে থাকে দিনের পর দিন। যা থেকে দূষণ ছড়ায়।
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। ভালো উদ্যোগ। নতুন ভাবনা। আগে কোথাও হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে শিলিগুড়ি একেই দূষণের শীর্ষে। এই ধরনের বৈদ্যুতিক চুল্লি হলে দূষণ নিয়ন্ত্রিত হবে। বলেছেন, পরিবেশপ্রেমী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী।
পরিবেশবিদ অনিমেষ বসু জানান, খুবই ভালো উদ্যোগ। দূষণ অনেকটাই কমবে শহরে। পাশাপাশি পুরসভাকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে দিন দিন কমছে শকুনের সংখ্যা। যা পরিবেশের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। মৃত পশুদের মাংসের টানেই নেমে আসে হিমালয়ান শকুন। এবারের শীতেও পাহাড় থেকে প্রচুর শকুন নেমে এসেছিল। তাই জটিয়াকালির ডাম্পিং গ্রাউণ্ডের কথা ভুললে চলবে না।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি উদ্যোগে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হবে।
PARTHA PRATIM SARKAR
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।