Partha Sarkar
#শিলিগুড়ি: বৃহস্পতিবার ছিল মকর সংক্রান্তি! পৌষ সংক্রান্তি হিসেবেও যা পরিচিত। বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বনের একটি অন্যতম উৎসব। পিঠে, পুলি, পায়েস খাওয়ার দিন। আবার আজ ঘুড়ি ওড়াবার দিন। বিভিন্ন সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে আজকের দিনটি পালন করেন। এক উৎসবমুখর আবহে দিনটি পালন করা হয়। নিউ নর্মালে সব পরিষেবাই স্বাভাবিক হলেও এখনও বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা। বাজারে কোভিড প্রতিরোধক টিকা "কোভিশিল্ড" এসেছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ কর্মসূচী শুরু হবে। কিন্তু স্কুল, কলেজের দরজা কবে খুলবে তা এখনও জানায়নি রাজ্য শিক্ষা দফতর। করোনার জেরে বন্ধ রয়েছে সরকারী, বেসরকারী স্কুল। চলছে অনলাইনে ক্লাস।
এ ভাবেই অনলাইনে আজ মকর সংক্রান্তি উৎসবের আয়োজন করে শিলিগুড়ির একটি ইংরেজী মাধ্যম স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ অনলাইনে নার্সারি গ্রুপের পড়ুয়াদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ঘুড়ি আঁকা প্রতিযোগিতা। অনলাইনে এক প্রান্ত থেকে স্কুল শিক্ষিকাদের গাইড লাইন। অন্য প্রান্তে অভিভাবকদের সঙ্গে ঘরে বসে ঘুড়ি আঁকে খুদে পড়ুয়ারা। তারপর পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের হাতে। এবং খুদে পড়ুয়াদের বোঝানো হয় মকর সংক্রান্তির দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর বিশেষত্ব কোথায়? অন্যদিকে এ দিনই স্কুলের ক্লাস ওয়ানের পড়ুয়াদের অনলাইনে চলে ঝালমুড়ি তৈরীর প্রক্রিয়া। একইভাবে এক প্রান্ত থেকে স্কুল টিচারদের গাইড লাইন। তা শুনেই ঘরে বসেই চলে প্রিয় ঝালমুড়ি তৈরী। রীতিমতো সব রেসিপি নিয়েই চলে ঝালমুড়ি তৈরী।
স্কুলের ডিরেক্টর সন্দীপ ঘোষাল জানান, সেই মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ। কার্যত ঘরবন্দী পড়ুয়ারা। খুদে পড়ুয়াদের একঘেয়েমি কাটাতেই এই ধরনের আয়োজন। স্কুলের এমন উদ্যোগে অভিভূত অভিভাবকেরাও। এর মধ্য দিয়ে স্কুল এবং পড়ুয়াদের মধ্যে যোগাযোগও অনেকটাই বেড়ে যায়। এর আগেও লকডাউনের সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইনে অনলাইনে ক্লাস করানোর ফাঁকে মনোরঞ্জনের জন্যে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যার মধ্য দিয়ে বাড়তি উৎসাহ আদায় করে নেয় ছাত্র এবং ছাত্রীরা।