#শিলিগুড়ি : বেডরুম থেকে স্বামী-স্ত্রীর জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার! শিলিগুড়ির ১৮ নং ওয়ার্ডের সুভাষপল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য শহরে। সকাল ১১টা পর্যন্ত ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হয় মেয়ের মায়ের। ডাকাডাকি করেও মেলেনি কোনও সাড়া। প্রতিবেশীদের ডেকে নিয়ে আসেন বৃদ্ধা মা। দরজা ভাঙতেই দেখেন বেডরুমে জোড়া মৃতদেহ। মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। মুখ রক্তমাখা। এক পাশ হয়ে শুয়ে আছে নিথর দেহ। জামাইয়ের দেহ বিছানাতেই। এক পাশ হয়ে কোল বালিশে মুখ ঢাকা। তাৎপর্যপূর্ণ হল দেখা যায় ঘরের মধ্যে দুটি কড়াইয়ে পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ কয়লা।
জানা যায়, মৃতদের নাম দেবলীনা সরকার এবং উজ্জ্বল সিনহা। ২০১৩ সালে বিয়ে হয়েছিল উজ্জ্বল ও দেবলীনার। শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন স্ত্রীকে নিয়ে। নিজে প্রাইভেট টিউশন করতেন। স্ত্রী ভালো ছবি আঁকতেন। বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীতে জায়গা পেত দেবলীনার আঁকা ছবি। এটা কী খুন না আত্মহত্যা? এনিয়ে ধন্দে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: বলুন তো জল কেন 'ভেজা' হয়? উত্তর খুঁজে হয়রান ৯৯ শতাংশ মানুষ! আপনি জানলে কিন্তু আপনিই সেরা!
স্বামী-স্ত্রীর খুব মিল ছিল, বলছেন মৃতার মা। দেবলীনার দিদিও পাশের ঘরেই থাকতেন। গতকাল রাতেও নাকি মাংস রান্না করে শাশুড়িকে খাইয়েছেন জামাই। অন্য পাঁচ দিনের মতো গতকাল রাতেও বাড়িতে আড্ডা বসে। তারপর রাতে ঘুমোতে যান যে যার মতো। তারই মধ্যে সকালে এই মর্মান্তিক কাণ্ড দেখে হতবাক সবাই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর সঞ্জয় শর্মা। পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশও। মৃতার মা শিপ্রা সরকার জানান, "ওদের দু'জনের মধ্যে খুব মিল ছিল। কোনওদিন ঝামেলাও হয়নি। কী ভাবে ওমন ঘটনা ঘটাল, বুঝতে পারছি না। তবে এটা খুনের ঘটনা নয়। কে ওদের দু'জনকে খুন করবে? আর কেনই বা করবে? ঘরও বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। প্রতিবেশীরাও একই দাবি করেছেন।
এলাকার কাউন্সিলরের কথায়, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যারই ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্যে মেডিকেলে পাঠিয়েছে। কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময়ে বাইরে প্রচুর ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই পরিবার। পাওনাদারেরাও চাপ দিচ্ছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী ঋণ মেটাতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন এই দম্পতি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।