শিলিগুড়ি: দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ এসছিল। এমন কি, টক টু মেয়রেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু অবৈধ নির্মাণ ভাঙার বিষয়ে "চুপ" ছিল পুরসভা, এমনই অভিযোগ উঠছিল। একেবারে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ সদস্য কমল আগরওয়ালের চেম্বারের সামনেই ছিল এই বেআইনি নির্মাণ।
অবশেষে নড়েচড়ে বসল পুরসভা। এর পরেই নির্দেশ দেন মেয়র গৌতম দেব। তাঁর নির্দেশেই তৃণমূলের দখলে থাকা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দু'টি বিল্ডিংয়ের অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দেয় পুরসভা। আর তা নিয়েই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুর প্রতিনিধিদের। নির্মাণ ভাঙার সময় বাধাও দেওয়া হয়৷ পুলিশ ও পুরসভা যৌথভাবে ভেঙে দেয় দুটি ভবনের অবৈধ অংশ।
আরও পড়ুন: আর ছোট্ট পুকুরে থাকতে হবে না ! 'ঘরবদল' হল মাছেদেরও, শিলিগুড়ির ঘটনা অবাক করবে
যদিও নিয়ম মেনে নির্মাণ ভাঙা হয়নি বলে একটি বাড়ির মালিকের অভিযোগ করেন। আইনজীবী ফৈয়েজ আহমেদ বলেন, কোনওরকম নোটিস ছাড়াই নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। অন্তত ১ মাস বা ১ সপ্তাহের নোটিস দেওয়া উচিৎ ছিল। মালিকপক্ষকে সময় দেওয়া উচিত ছিল। যদিও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালিক ভেঙে না দিত, তারপর পুরসভা অভিযান চালাতো। আর নির্মাণ বৈধ না অবৈধ তা ঠিক করবে আদালত, দাবি ওই আইনজীবীর।
আরও পড়ুন: পুরসভার 'নিয়োগেও' অয়ন-যোগ? ডায়মন্ডহারবারে চাকরি 'দুর্নীতি'তে নাম সল্টলেকের প্রোমোটারের!
এ নিয়ে বচসাও হয় দুই পক্ষের মধ্যে। কিন্তু পুরসভা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ছিল। তবে পুরসভার দাবি, আগে বহুবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। নিয়ম মানেনি বাড়ির মালিকপক্ষ। কমিশনারের নির্দেশেই অবৈধ অংশ ভাঙা হয়েছে, জানান পুরসভার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র অসামঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কমিশনারের নির্দেশে এসছি। যা বলার উনিই বলবেন।
যদিও বিল্ডিং ভাঙার সময়ে ছিলেন না ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল আগরওয়াল। মেয়র যাবেন বলেও তিনি যাননি। শহর জুড়েই বেআইনি বিল্ডিং, দোকান ঘরের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে পুরসভা। শহরকে গতিশীল করাই লক্ষ্য পুরসভার। ফুটপাথ যেমন দখলমুক্ত করা হবে, তেমনই গজিয়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণও গুঁড়িয়ে ফেলা হবে, সাফ ঘোষণা পুরসভার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Siliguri