#শিলিগুড়ি: টানা ১৪ দিন লকডাউনের পর আজ ছিল আনলকের প্রথম দিন। ভাবা গিয়েছিল রাস্তাঘাটে ভিড় উপচে পড়বে। বাজারে তিল ধারনের জায়গা থাকবে না। মার্কেটগুলো ভিড়ে ঠাসা থাকবে। হল ঠিক উল্টোটা! সৌজন্যে বৃষ্টি! সকাল থেকেই শিলিগুড়ির আকাশে দেখা মেলেনি সূয্যিমামার। একেবারে ভেজা একটা দিন! আনলকেও যেন মনে হল লকডাউন চলছে! রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান। মার্কেটে দোকানপাট খুললেও দেখা নেই ক্রেতার।
হংকং মার্কেট হোক কিংবা বিধান মার্কেট। শেঠ শ্রীলাল মার্কেট কিংবা গৌরি শঙ্কর মার্কেট। একেবারে ফাঁকা। ক্রেতার অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন ব্যবসায়ীরা। দিনের শেষে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। বেচাকেনা প্রায় নেই বললেই চলে! অনেক দোকানের আবার আজ একদমই কেনাকাটা হয়নি বললেই চলে! বিধান মার্কেটে মাইকে বাজছে "উই শ্যাল ওভার কাম..." সঙ্গে করোনা সচেতনতা প্রচার। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ। কিন্তু যাদের জন্যে এই আয়োজন, সেই ক্রেতাদেরই দেখা নেই। যেন লকডাউনের ছবি ঘুরে ফিরে এসছে। বৃষ্টির জেরেই ঘরে নিজেদের বন্দী রাখলেন শহরবাসীর একটা বড় অংশ। সকালের দিকে পাড়ার সবজি এবং মাছ ও মাংসের দোকানেও তেমন ভিড় নজরে আসেনি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বিপর্যস্ত শহরবাসী।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিয়ির যুগ্ম সম্পাদক রাজু দে জানান, ১৪ দিন পর মার্কেট খুললেও লোকের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির জন্যেই মানুষেরা বের হননি। আগামী কয়েক দিনও এমনভাবেই চালাতে হবে। তবে মার্কেটে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হবে সকলকেই। সে ক্রেতা হোক বা বিক্রেতা থেকে কর্মীদের। নইলে কেনাকাটা করা যাবে না। ব্যবসায়ী সমিতিরও সমান নজর থাকবে। আপাতত শিলিগুড়ি পুর এলাকায় লকডাউন নেই। নতুন করে কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করবে প্রশাসন। সেই এলাকাগুলোতে কিছু বিধিনিষেধ জারি করবে জেলা প্রশাসন। এমনটাই এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন জেলাশাসক এস পুন্নমবালাম। বৃষ্টির জেরে এদিন শহরের হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বর্ধমান রোড, বিধান রোডেও ভিড়ের ঝক্কি পোহাতে হয়নি শহরবাসীকে।
Partha Sarkar
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: North Bengal, Siliguri